স্বাস্থ্য সচেতনতার যুগে ড্রাই ফ্রুটস এখন অনেকেরই নিত্যদিনের ডায়েটের অংশ।বাদাম, কাজু, কিসমিস বা আখরোট, এই শুকনো ফলগুলোকে আমরা প্রায়ই ‘সুপারফুড’ বলে থাকি। কিন্তু শুধু খাওয়াই যথেষ্ট নয়, ড্রাই ফ্রুটস কখন এবং কতটা খাওয়া হচ্ছে, তার উপরেই নির্ভর করে এর প্রকৃত উপকারিতা। পুষ্টিবিদদের মতে, ভুল সময়ে বা অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাই ফ্রুটস খেলে শরীরের উপকারের বদলে সমস্যা বাড়তে পারে।
হলিস্টিক ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশনিস্টদের মতে, ড্রাই ফ্রুটস পুষ্টির এক শক্তিশালী উৎস হলেও এগুলির কার্যকারিতা নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের ধরন, পাচনক্ষমতা এবং জীবনযাত্রার উপর। তাই প্রত্যেকটি ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানা জরুরি।ভিটামিন ই, প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ আমন্ড বা কাঠবাদাম সবচেয়ে ভালো কাজ করে যদি তা রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া যায়। এতে পুষ্টি সহজে শোষিত হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। দিনে ৪ থেকে ৬টি বাদাম খেলেই যথেষ্ট।
কাজু বাদামে ক্যালোরি ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকায় এটি সকাল বা দুপুরে খাওয়াই শ্রেয়।রাতে কাজু খেলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি হজমের সমস্যাও হতে পারে।মস্তিষ্ক ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী আখরোট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরের আগেই ১ থেকে ২টি আখরোট খেলে সব থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।
পেটের সমস্যা, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যে ডুমুর অত্যন্ত কার্যকর।রাতে ১ থেকে ২টি ডুমুর জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে হজমশক্তি বাড়ে।রক্তস্বল্পতা ও দুর্বলতায় কিসমিস উপকারী। রাতে জলে ভেজানো ৮–১০টি কিসমিস সকালে খেলে শরীরে দ্রুত শক্তির সঞ্চার ঘটে।তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।সবশেষে মনে রাখা দরকার, ড্রাই ফ্রুটস পুষ্টিকর হলেও তাতে ক্যালোরি বেশি। তাই নিজের শারীরিক অবস্থা বুঝে, সঠিক সময় ও পরিমাণ মেনে খাওয়াই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি।