ঠান্ডায় ব্যথা-যন্ত্রণা বাড়লে

প্রতীকী চিত্র

পেশাগত কারণে আমাদের দীর্ঘসময় ধরে বসে কাজ করতে হয়। এর ফলে অস্থিসন্ধির ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এই সমস্যা কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে, এক দশক আগেও এতটা ছিল না। বার্ধক্যের কারণে পঞ্চাশের বেশি বয়সিরাই শিকার হতেন অস্থিসন্ধির ক্রনিক পেইন-এর। কিন্তু এখন কুড়ি-পঁচিশ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরাও ব্যথা-যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন। আসলে আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে কাজের পরিমাণ বাড়লেও, হাঁটা-চলা, শরীরচর্চা ইত্যাদির জন্য সময় কমছে। ফলে একভাবে ভুল পশ্চারে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, জয়েন্টের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শীতে বাড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার প্রকোপ। এর মধ্যে সবচেয়ে কষ্টকর পেশীতে টান ধরার সমস্যা এবং গাঁটের ব্যথা। কীভাবে মুক্তি পেতে পারেন এর থেকে, জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত যতই আলস্য লাগুক, শীতকালে শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না। এই ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে, নিয়মিত শারীরিক সক্রিয়তা জরুরি। এর জন্য অবশ্য জিম-এ গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে না, বরং হাঁটাচলার পাশাপাশি কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলেই চলবে।
এছাড়া প্রতিদিন কিছু জিনিস মেনে চললে সমস্যা এড়ানো সহজ হবে। শীতকালে উষ্ঞ গরম জলে স্নান করুন। যে-অংশে ব্যথা, সেখানে গরম সেঁক দিন। আরাম পাবেন অনেকটাই। শীতে শরীরের জয়েন্ট এবং পেশীগুলি স্টিফ হয়ে থাকে। গরম সেঁক ব্যথার জায়গায় দিতে পারলে অস্থিসন্ধি এবং পেশীর শক্তভাব কমবে। সারা শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালনও হবে।

শীতের মরশুমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এই ধরনের খাবার খেলে শরীরের পেশীগুলিতে শিথিলভাব বজায় থাকবে এবং হাড়ের গঠনও মজবুত হবে। এর ফলে ব্যথা-যন্ত্রণার উপশম হবে।


শীতকালে জল খাওয়া কমিয়ে দিই আমরা । এই প্রবণতার ফলেই কিন্তু মাসল ক্র্যাম্প হয় বেশি। সঠিক পরিমাণে জল শীতকালেও খেতে হবে। শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে দেওয়া যাবে না। এটুকু সতর্ক হলেই পেশীতে টান ধরা, গাঁটের যন্ত্রণা কমবে। ঠান্ডা বাড়লে জয়েন্ট পেন বা গাঁটের ব্যথা যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায়, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে।