হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এইসব খাবার ও পানীয় একেবারে এড়িয়ে চলুন

প্রতীকী চিত্র

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করি, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। অথচ আমরা খতিয়ে দেখি না, ওইসব পানীয় ও খাদ্য গ্রহণ করা উচিত কিনা। আবার হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমরা অনেকেই ভুল ধারনা পোষণ করি। অনেকেই ভাবি, নিয়মিত ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে হয়তো হাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে। অনেকে আবার হাড়ের একটু সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধের দোকান থেকে নানারকম ক্যালসিয়ামের বড়ি এনে খাওয়া শুরু করেন। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন না, ওইসব ওষুধ তাঁর শরীরের পক্ষে কতটা উপযুক্ত, তার ডোজের পরিমাণ কী? আদৌ তার শরীরে এই ধরনের ওষুধের কোনও প্রয়োজন আছে কিনা, সেব্যাপারে সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বোনেটেড পানীয়তে চিনি ও ফসফরিক অ্যাসিড থাকে, যা হাড়ের বৃদ্ধিতে প্রতিকূল প্রভাব বিস্তার করে এবং ক্যালসিয়াম হ্রাস করে।

আবার কফিতে থাকা ক্যাফেইন হাড়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই অনুকূল নয়। এমনকি অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ হাড়ের ঘনত্বকে হ্রাস করে।


শিশুরা চকোলেট, মিষ্টি ও কেক ইত্যাদি চিনিযুক্ত খাবার খেতে খুবই ভালোবাসে। আবার বড়রাও এই ধরনের খাবার হামেশাই খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই চিনি জাতীয় খাবার মজবুত হাড়ের পক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে কোল্ড ড্রিংকসে চিনির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই সব খাদ্য ও পানীয় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং অন্যান্য আলুর চিপস শিশুদের কাছে খুবই মুখরোচক খাবার। আবার আমরা বড়রাও এই ধরনের খাবার প্রায়ই খেয়ে থাকি। দিনের শেষে কাজ থেকে ফেরার পথে ট্রেনে বা বসে হকারদের থেকে কিংবা দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে এই ধরণের খাবার খেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পেট ভর্তি করি। কিন্তু হাড়ের দীর্ঘস্থায়ী সুস্বাস্থ্যের জন্য এই ধরণের খাদ্য তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিন। কারণ এইসব সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর কুপ্রভাব ফেলতে পারে।

এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে রেড মিট আহার হাড়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে একদম ভালো নয়। রেডমিট অতিরিক্ত পরিমাণে আহার করলে হাড়ের স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী কুপ্রভাব ফেলে। সেজন্য রেড মিট আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন, কিন্তু পরিমাণ বুঝে।