চিনের  ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পে  উপস্থিত থাকবেন পুতিন  পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে জোট ? নজরে রাখছে কূটনৈতিক মহল 

বেজিং , ১২ অক্টোবর –  চিনের  ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের  দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেজিংয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে , যেখানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সুযোগেই পশ্চিমের দেশগুলোর বিরুদ্ধে জোট গড়ার ক্ষেত্রে একজোট হতে পারে চিন-রাশিয়া , মনে করছেন কূটনীতিকরা। চিন যাই বলুক , ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্প আসলে এক ফাঁদ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে ঋণের ফাঁদ পেতেছে চিন।  ভারত বরাবর এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে। কারণ, চিনা প্রকল্পের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের  উপর দিয়ে। তাই  এই গোটা ঘটনাই ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় চিন। এনিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জান জানিয়েছেন, “বেজিংয়ে বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ ও অংশীদারদের স্বাগত। উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে স্বার্থে এই উদ্যোগ।” আগামী সপ্তাহেই চিনের রাজধানীতে হবে এই সম্মেলন। যেখানে যোগ দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে । অন্যদিকে, যুদ্ধের ময়দানে চিনকে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা।
 

 পুতিনের চিনে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর আগে আমেরিকাকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়ায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিল রাশিয়া। কারণ যুদ্ধের ময়দানে মস্কোর উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা ।  এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা বিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে চাইছেন পুতিন।  রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে চিনে যাচ্ছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, মস্কোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে । বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ  বৈঠকে বসবেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে। সাক্ষাতের পর বাইডেন প্রশাসন কী বার্তা দেয় সে দিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।