সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ নেই কেন ? মোদিকে কটাক্ষ উদয়নিধির  

চেন্নাই, ২১ সেপ্টেম্বর – রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিধবা এবং আদিবাসী। তাই তাঁকে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে ডাকা হয়নি। এমনই দাবি করলেন তামিলনাড়ুর মন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন। তিনি দাবি করেন, এটাই সনাতন ধর্মের আসল স্বরূপ। তাঁর কথায়, ‘এটাকেই আমরা সনাতন ধর্ম বলে থাকি।’ তামিলনাড়ুতে মাদুরাইয়ে  একটি অনুষ্ঠানে তামিলনাড়ুর মন্ত্রী দাবি করেন, মাসকয়েক আগে যখন নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা হয়, তখন রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী নয়া সংসদ ভবনের প্রথম অধিবেশনে তাঁকে ডাকা হয়নি।
মহিলা সংরক্ষণ বিল এনে দেশের মহিলা ভোটারদের মন পেতে তৎপর গেরুয়া শিবির। যদিও দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন কর্মসূচিতে এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ভবনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশনের দিনে ডাকা হয়নি। যা নিয়ে এবার তোপ দাগলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি । তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী বিধবা এবং আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলেই বিজেপি সরকার প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছে না।
তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার অন্যতম দল ডিএমকের ওই অনুষ্ঠানে স্ট্যালিন বলেন, ‘কে আমাদের দেশের প্রথম নাগরিক? রাষ্ট্রপতি। তাঁর নাম কী ? দ্রৌপদী মুর্মু। নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটাকেই আমার সনাতন বলে থাকি।’
স্ট্যালিন আরও বলেন, ‘গতকাল নয়া সংসদ ভবনে হিন্দি সিনেমার এক অভিনেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হল। কিন্তু রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছিল না। কেন? কারণ দ্রৌপদী মুর্মু হলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। এটাকেই সনাতন ধর্ম বলে থাকি আমরা।’
উল্লেখ্য, এই প্রথম সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন না স্ট্যালিন। আগেও সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। সেইসময় সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেন, “কিছু জিনিসের প্রতিবাদ করা যায় না। সেগুলির অবলুপ্ত ঘটানো দরকার। আমরা ডেঙ্গু, মশা, ম্যালেরিয়া কিংবা করোনার বিরোধিতা করি না। আমরা সেটা নির্মূল করি। ঠিক সেভাবেই আমাদের সনাতন ধর্মকে অবলুপ্ত করতে হবে। ‘সনাতন’ শব্দটা এসেছে সংস্কৃত থেকে। এটা সামাজিক ন্যায় ও সাম্যের বিরুদ্ধে।” ওই ঘটনায় স্ট্যালিনপুত্রের শিরচ্ছেদের হুঁশিয়ারি দেন অযোধ্যার মহন্ত পরমহংস আচার্য। নিজে উদয়নিধির মাথা কাটবেন, একথা বলার পাশাপাশি কেউ এই কাজ করলে তাঁকে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেবেন বলেও ঘোষণা করেন তিনি ।