পৌষমেলার মত বসন্ত উৎসবেও ‘না’ উপাচার্যের 

শান্তিনিকেতন, ১ মার্চ — এবারের বসন্ত উৎসবও বাতিল হল শান্তিনিকেতনে। এর আগে সাধারণ মানুষের  নাগালের বাইরে রাখা হয়েছে পৌষ মেলাও। অনেকেই আশা করেছিলেন , পৌষ মেলা না হলেও বসন্ত উৎসব হবে ধুমধাম করে।  কিন্ত না, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানিয়ে দিয়েছেন , আগে বসন্ত উৎসবে বাইরে থেকে আসা লোকেদের তান্ডব হত।  সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবারের বসন্ত উৎসব।  তবে, বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন  শুধুমাত্র পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীরা। ৭ মার্চ দোল পূর্ণিমা। কিন্ত বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ৩ মার্চেই তাদের অনুষ্ঠান হবে। ২ মার্চ সন্ধেবেলা লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান হবে। পরের দিন ৩ মার্চ সকালে নিয়ম মেনে বৈতালিকের পর সকাল সাতটায় বেরোবে শোভাযাত্রা।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন বিজ্ঞপ্তিতে অনেকেই রীতি ও প্রথা ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, রবীন্দ্রনাথের আমল থেকে দোল পূর্ণিমার দিনেই এই উৎসবে মেতে উঠত শান্তিনিকেতন। সেই উৎসবে সামিল হতে বাইরে থেকেও আসতেন বহু মানুষ। এবার তা আর হচ্ছে না। প্রবীণ আশ্রমিকদের অনেকেই বলছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বভারতী থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। উপাচার্য যা মনে করছেন তাই করছেন। তিনি মনে করেছেন দোলের দিন বসন্তোৎসব করবেন না। সেটাই হচ্ছে।”কোভিডের কারণে ২০২০ সাল থেকে বন্ধ হয়েছে বসন্তোৎসব। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এবারও হয়নি বসন্তোৎসব।  পরিবর্তে আয়োজন করা হয়েছে বসন্ত বন্দনার।