পাইথনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে বেদম মারামারি রাস্তায়! ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায় 

কানাডা, ১৫ মে — মানুষের অদ্ভুত ধরণের শখ দেখে চোখ কপালে ওঠার দায়। অনেকেই বাড়িতে পোষ্য রাখতে ভালবাসেন। সাধারণত  কুকুর, বিড়াল, কিংবা ভিন্ন প্রজাতির পাখি অথবা খরগোশ-এদেরই পোষ্য হিসেবে দেখে আমরা অভ্যস্ত।বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেকে বাঁদর, ছোট চিতা বাঘ এগুলো রাখতে ভালোবাসেন।কিন্তু তা বলে সাপ ? তাও আবার পাইথন ! বিশালাকার এই সাপ, তাকেও নাকি পোষ মানানো যায়।এমনই এক দুঃসাহসিক ঘটনার ছবি ভিডিও সহ ভাইরাল নেট মাধ্যমে।  রাস্তাঘাটে মারামারিতে তাকে রীতিমতো কাজেও লাগানো যায়! সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে তেমনই একটি ভিডিও যা দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা ।

 রাস্তাঘাটে পোষা পাইথন নিয়ে মারামারির ঘটনাটি কানাডার টরন্টোর। ডান্ডাস স্ট্রিট এবং ম্যানিং অ্যাভিনিউয়ের সংযোগকারী রাস্তায় গত বুধবার রাত বারোটা নাগাদ দুই ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। অবশ্য, একজন মূলত মার খাচ্ছিলেন। মারছিলেন অন্যজন। তাও আবার পোষা সাপ দিয়ে। পাইথনটিকে রীতিমতো লাঠির মতো ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে মারতে মারতে ধরাশায়ী করে ফেলেছিলেন তিনি।

 কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পুলিশের একটি গাড়ি হাজির হয় ঘটনাস্থলে। তাঁরাই মারামারি থামান। যে ব্যক্তি মারধর করছিলেন, তাঁকে রাস্তায় শুয়ে পড়তে বাধ্য করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সময় পাশ দিয়ে চুপচাপ চলে যেতে শুরু করে সাপটি।


 শনিবার টরন্টো পুলিশের তরফ থেকে এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, তাঁদের কাছে একের পর এক অভিযোগ আসছিল, ওই ব্যক্তি পোষ্য পাইথন দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন লোকজনকে। তারপরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁরা।

‘ওঁরা দুজন নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ওই ব্যক্তি অপরপক্ষকে আক্রমণ করার জন্য সাপটিকে ব্যবহার করছিলেন,’ জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম লরেনিও আভিলা। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হাতিয়ার দিয়ে মানুষকে আঘাত করা এবং পশুদের উপর নির্যাতন আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে লরেনিওর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।