গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ , দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং 

দিল্লি, ১৩ অক্টোবর – রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই অভিযোগ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন  আম আদমি পার্টি-র সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে  ইডি। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে সঞ্জয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়।

দিল্লি সরকারের আবগারি দুর্নীতি মামলায় বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর সকালে থেকে আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। ঐদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তের জন্য মঙ্গলবার ইডির তরফে আবার আপ সাংসদকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদন মেনে  ইডি হেফাজতের মেয়াদ আরও তিন দিন বৃদ্ধির নির্দেশ দেন বিচারক ।
প্রসঙ্গত, দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস-এর প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কবিতাকে। এই বিতর্কের জেরে ২০২২ সালে আবগারি নীতি বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল কেজরীওয়াল সরকার। কিন্তু তার আগেই এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। পরে আবগারিকাণ্ডে বেআইনি আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি।
 
সঞ্জয় সিংয়ের ইডির হেফাজতে থাকার মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার।  সেইদিনই দিল্লি হাইকোর্টে গ্রেফতারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সঞ্জয় সিং।  চার্জশিটে ইডি অভিযোগ করেছে, দিল্লির আপ সরকার মদ বিপণন সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তন করে  ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেয়।