ব্রিটিশ মিউজিয়ামের চুরি যাওয়া দু’হাজার সামগ্রীর অনলাইনে বেচাকেনা 

লন্ডন, ২৮ আগস্ট– দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী রাখা মিউজিয়ামে কড়া পাহারা থাকবে এটা তো স্বভাবিক, কিন্তু সেই কড়া পাহারা এড়িয়ে চুরি গেল এক -দুই নয় অন্তত দু’হাজার শিল্প সামগ্রী। তাও আবার খাস ব্রিটিশ মিউজ়িয়াম থেকে। শুধু চুরি গেছে তাই নয়, সেই সব সামগ্রী আবার সেই দুষ্প্রাপ্য শিল্প সামগ্রীরই দেখা মিলছিল অনলাইনে বিভিন্ন বেচাকেনার সাইটে। আর এরপরই টনক নড়ল প্রশাসনের।

জানা গিয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে উনিশ শতকের মাঝের বিস্তীর্ণ সময়কালের অন্তত দু’হাজার শিল্প সামগ্রী চুরি হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে অবশেষে তা চিহ্নিত করে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে, জানালেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই জাদুঘরের চেয়ারম্যান তথা ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই দু’হাজার শিল্প সামগ্রীর মধ্যে বেশ কয়েকটি সামগ্রী ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু মানুষকে আমরা পেয়েছি যাঁরা সত্যিই সৎ। তাঁরা সব জেনে শিল্প সামগ্রীগুলি ফেরত দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে বেশ কিছু এমন ক্রেতাও আছেন, যাঁদের কাছ থেকে কিছু জিনিস ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’’ জানা গিয়েছে, চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে সোনা ও মূল্যবান পাথরের বহু গয়না। জাদুঘরের একটি স্টোররুমে রাখা গোটা একটি শিল্পকর্মের টুকরো টুকরো অংশই ওই চুরি যাওয়া সামগ্রীর তালিকায় মূলত রয়েছে।


সব থেকে মজার বিষয় সামগ্রীগুলি চুরি যাচ্ছে প্রথমে জানতোই না ব্রিটিশ মিউজ়িয়াম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে এক ডাচ শিল্প সংগ্রাহক সবার প্রথমে বিষয়টি নিয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কর্তৃপক্ষ তখন জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু অসবোর্ন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সেই তদন্ত আসলে অসম্পূর্ণ ছিল। শুক্রবারই আচমকা পদত্যাগ করেন জাদুঘরের ডিরেক্টর হার্টউইগ ফিশার। নাম প্রকাশ করা হয়নি, এমন এক কর্মীকেও ছাঁটাই করা হয়েছে।