ইন্দোরের মাঠকর্মীদের কৃতিত্বকে কুর্ণিশ জানিয়ে ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাটি।

ইন্দোর:- ক্রিকেট ম্যাচে ক্রিকেটারদের উপরেই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় থাকে। বল বা ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে তাঁরাই হন ম্যাচের নায়ক। কিন্ত একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে অবদান থাকে আরও অনেক মানুষের। তাঁদের পরিশ্রম ভাবনায় সফলভাবে রূপায়িত হয় এই ম্যাচগুলি। প্রতিটি ম্যাচেই মাঠ কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তাঁরা থাকেন প্রচারের আড়ালে। জানা গিয়েছে, এশিয়া কাপের পর ভারত-অস্ট্রেলিয়া একদিনের সিরিজেও বৃষ্টি ম্যাচটি নষ্ট বকরে দেয়। ইন্দোরে দুই দফায় খেলা বন্ধ থাকে। কিন্তু মাঠকর্মীদের তৎপরতায় এবং কৃতিত্বে ওভার এবং রান কমলেও ম্যাচ পুরোই সম্পন্ন হয়। ভারত অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচের পর মাঠকর্মীদের কৃতিত্বকেই কুর্ণিশ জানাল মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। সূত্রের খবর, ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাটি। ইন্দোরের ম্যাচ চলাকালীন দুই দফায় বৃষ্টি হয়। প্রথমে ভারতের ব্যাটিং করার সময় বৃষ্টি নামে। এরফলে প্রায় একঘণ্টার কাছাকাছি সময় ম্যাচ বন্ধ থাকে।  অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসেও বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ১৭ ওভার কাটা যায় ম্যাচ থেকে। ভারত ৫০ ওভারে ৩৯৯ রান করলেও বৃষ্টির জন্য অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট হয় ৩৩ ওভারে ৩১৭। ২৮.২ ওভারে পুরো অস্ট্রেলিয়ান দল ২১৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে ৯৯ রানে পরাজিত করে। ম্যাচে জোড়া শতরান করেন শ্রেয়স ও গিল। কিন্তু এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মাঠকর্মীরা। বৃষ্টি আসার সঙ্গেই সঙ্গেই পুরো মাঠ তাঁরা ঢেকে ফেলেন। এমনকি আউট ফিল্ডেও কোনভাবেই জল জমতে দেননি। ফলে বৃষ্টি থামলেই ম্যাচ শুরু করা সম্ভব হয়। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি অভিলাস খাণ্ডেকর বলেন, মাঠ কর্মীরা যে পরিশ্রম করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। তাই মাঠকর্মীদের ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এরআগে এই নজির দেখা গিয়েছিল এশিয়া কাপেও। এশিয়া কাপে পুরো টুর্নামেন্টেই তাড়া করেছিল বৃষ্টি। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির সঙ্গে দারুণ ভাবে মোকাবিলা করেছেন মাঠকর্মীরা। ফাইনালে ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেন সিরাজ। ম্যাচ পাওয়া ৫ হাজার ডলার পুরোটাই কলম্বোর মাঠকর্মীদের দিয়ে দেন তিনি। পরে মাঠকর্মীরা পান আরও বড় পুরস্কার। এশিয়া কাপের শ্রীলঙ্কা পর্বে প্রতি ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির ভয়। জানা গিয়েছে, জয় শাহ জানান এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড দিবে আরও ৫০ হাজার ডলার।