কেন্দ্রে শাসকদল সংসদকে একটি গভীর অন্ধকার কূপে পরিণত করছে, সাংবাদিক সম্মেলনে কড়া সমালোচনা তৃণমূলের 

দিল্লি, ১৬ মার্চ –  মোদী ও শাহের অধীনে বিজেপি সংসদকে একটি গভীর অন্ধকার কূপে পরিণত করছে। তারা সংসদকে অপ্রাসঙ্গিক করতে চায়. বিজেপি সংসদ চালাতে চায় না কারো সরকারকে সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। সংসদের অধিবেশনের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকারকে তুলোধোনা করেনা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সৌগত রায়.  রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক আদানি ইস্যুতে বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন। স্টেট  ব্যাংকের তহবিলগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এলআইসি ফান্ডগুলিও ঝুঁকির মধ্যে।  হাজার হাজার কোটি টাকা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একই সুরে সুর মেলান তৃণমূল সংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, দেশের সব থেকে বড়  বীমা সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছে। এসবিআই থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।  সেখানে সাধারণ মানুষের আমানত রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, আদানির এই লুঠের তদন্ত সুপ্রিম কোর্টে হোক।  দেশের বিরোধী দলগুলির কাছে তাঁদের আর্জি, যে সব রাজ্যে বিরোধী দলের সরকার রয়েছে তারা তাদের রাজ্যে আদানির কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত করুক। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, বিজেপি সংসদ অচল করে দিচ্ছে।  সংসদ জগণের কাছে দায়বদ্ধ , কিন্তু এই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে চায় না।  তিনি বলেন, তাঁর ৪৫ বছরের সংসদীয় জীবনে এমন ঘটনা বিরল  যেখানে শাসক দোল নিজেই সংসদ অচল করে দেয়।  সংসদে প্রধানমন্ত্রী কোন উত্তর দেন না।  যেভাবে সংসদে বিল পাশ করা হচ্ছে তাও সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছেনা।  

বিজেপি বগণতন্ত্রকে অবহেলা করছে বলে এদিন তোপ দাগেন ডেরেক এবং সৌগত। লোকসভায় কোনও ডেপুটি স্পিকার নেই। জনগনের সমস্যা আলোচনা করা হয় না।  সরকার নির্লজ্জভাবে সংসদকে ব্যাহত করছে, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের।  

বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই আদানি ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ।  বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রের এই আচরণের প্রতিবাদে এবং আদানি ইস্যুতে প্রকৃত তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে মানবশৃঙ্খল গড়েন বিরোধী দলগুলির নেতাবৃন্দ । সংসদে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সংসদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল সাংসদরা।