অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র পালেস্তিনীয়দের হত্যা করছে ইজরায়েলি সেনা, বিস্ফোরক অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের

featuredনিউ ইয়র্ক, ২২ ডিসেম্বর-  অন্যায়ভাবে নিরস্ত্র পালেস্তিনীয়দের হত্যা করছে ইজরায়েলি সেনা। তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যাকান্ড ঘটছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ রাষ্ট্রসংঘের । যদিও এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইজরায়েলি সেনা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের তরফে জানানো হয়, গাজার আল রেমাল এলাকার আল আওদা বিল্ডিংয়ের দখল নেয় ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল একাধিক প্যালেস্তিনীয় পরিবার। অভিযোগ, ইজরায়েলের সেনা সেখানে প্রথমে মহিলা ও শিশুদের থেকে পুরুষদের আলাদা করে দেয়। তার পর অন্তত ১১ জনকে পরিবারের সদস্যদের সামনেই গুলি করে খুন করে। নিহতদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বিস্ফোরক এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে এটি হবে ইজরায়েলি সেনার নিয়মবিরুদ্ধ যুদ্ধাপরাধ।

এদিকে, হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার পেরিয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যাই বেশি। কিন্তু যুদ্ধ থামাতে নারাজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফের একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, ”একটা সহজ বাছাই করতে হবে হামাসকে। হয় আত্মসমর্পণ করো, নয় মরো। এছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। জয় না আসা পর্যন্ত আমরা লড়ব।” প্রসঙ্গত, এর আগেওএমনই মন্তব্য করেছিলেন নেতানিয়াহু। এবার আরও আক্রমণের সুর চড়ালেন তিনি।

এদিকে দেখতে দেখতে আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ থামার কোনও লক্ষণ নেই। মাঝে যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফের নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েলের সেনা। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়ে দিলেন, যতক্ষণ না পণবন্দিরা মুক্তি পাচ্ছেন এবং হামাস সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে।


হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার প্যালেস্তিনীয়র। নিহতদের মধ্যে শিশু ও মহিলার সংখ্যাই বেশি। এই প্রেক্ষাপটে রক্তপাত থামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। কিন্তু ভেটো প্রয়োগ করে সেই চেষ্টা আটকে দিয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটনের যুক্তি ছিল, এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না।  ফলে গত দুমাস ধরে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা যুদ্ধ থামার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না ।