ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারেই, কোনও ব্যবস্থা করতে পারবে না, সাফ জানাল কেন্দ্র

দিল্লি, ১৪ সেপ্টেম্বর– রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাদের কেরিয়ারকে  বড়-সড়ো প্রশ্নের মাঝে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল।  মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। শুধু তাঁদের অসমাপ্ত কোর্স শেষ করানো নয়, কোর্স শেষে  চাকরি পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র দেখুক, এমনই দাবি করেছিল এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেও সেই দাবি জানান কেন্দ্রের কাছে। তাঁর নির্দেশে সংসদে এনিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় । 

ওই পড়ুয়াদের কতটা সাহায্য করতে পারবে কেন্দ্র, তা জানতে চেয়েছিলেন সুদীপ। এবার তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সেই চিঠিতে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিল, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল-সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নিয়ামক সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ওই পড়ুয়াদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রের বিশেষ কিছু করার নেই। এ প্রসঙ্গে প্রতিটি নিয়মের কথা উল্লেখ করে মাণ্ডব্য কেন্দ্রের বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়েছেন।

ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৯, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৫৬ ও ফরেন গ্র্যাজুয়েট লাইসেন্সিয়েট রেগুলেশনসের স্ক্রিনিং টেস্ট রেগুলেশনস ২০০২ – এই তিন নিয়ামক সংস্থার নিয়মে স্পষ্টই উল্লেখ রয়েছে, বিদেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভারতীয় কোনও প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে পারে না, ট্রান্সফারও করা যাবে না। চিঠিতে এসব জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাণ্ডব্য। এ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেই জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যে সব মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ফিরতে আসতে হয়েছে, তাঁদের পড়াশোনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ করতে হবে, সেখান থেকে সার্টিফিকেটও পেতে হবে।


মাণ্ডব্য আরও জানান, ভারতের মেডিক্যাল সংস্থাগুলির নিয়ম বলছে, বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এদেশে ফিরে কেউ প্র্যাকটিস করতে চাইলে তাকে ফরেন মেডিক্যাল স্টুডেন্টস গ্র্যাজুয়েটের পরীক্ষায় বসতে হবে। পাশ করলে তবেই ভারতে চিকিৎসা করার সুযোগ মিলবে।