বিশ্বের অস্থিরতার আবহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করার উপর জোর দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

তাওয়াং, ২৫ অক্টোবর –  ভারত সীমান্তে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ গিয়ে অস্ত্রপুজোয় অংশ নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সীমান্তে পাহারায় থাকা সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানদের প্রশংসার পাশাপাশি সেখানে তাঁদের দশেরা ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান।  শুধু তাই নয়, সেনাদের মনোবল বাড়াতে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে অস্ত্রপুজোতেও অংশ নিলেন তিনি। সেনাকে বার্তা দিলেন, “বিশ্বের অস্থিরতার আবহে দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা ছাড়া কোন উপায় নেই।’’ এই প্রীতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যান সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডেও।  অরুণাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন তিনি।  

মঙ্গলবার তাওয়াং-এ গিয়ে রাজনাথ সিং জানান, বর্তমানে বিশ্বে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সে কথা মাথায় রেখে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।  সেই লক্ষ্যে আরও বেশি করে দেশীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান রাজনাথ সিং।  তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে।  ভাড়াটে দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র তৈরী হচ্ছে।  সম্নকী বিদেশেও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হচ্ছে।  রাজনাথ সিঙ্গার দাবি, ২০১৪ সালে ভারত ১ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করত, এখন তা বেড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
 
চিন বারবার অরুণাচলকে তাদের অংশ বলে দাবি করছে। অরুণাচলের বিভিন্ন অংশে চিনা সেনার ভারতের ভিতরে ঢুকে এলাকা দখলের চেষ্টার ঘটনা ঘটছে বারবার।  রাজনাথ প্রথমে বুম লা সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সফর করে সেনার প্রস্তুতি সরেজমিনে যাচাই করে নেন। সীমান্তে মোতায়েন সামরিক সরঞ্জাম ও আধুনিক সমর-পরিকাঠামোর বিষয়ে রাজনাথকে অবহিত করেন সেনাকর্তারা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে দশেরা পালন ও মত বিনিময়ের পরে তিনি তাওয়াংয়ে এসে অস্ত্র পুজো করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান তাওয়াং যুদ্ধ স্মারক স্থল ও সুবেদার যোগিন্দর সিংহের স্মারকে।
এদিন জওয়ানদের প্রশংসা করে রাজনাথ বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও জওয়ানরা যেভাবে সীমান্তে প্রহরা দিচ্ছেন এব দেশকে রক্ষা করছেন তার যত প্রশংসায় করা হোক, তা যথেষ্ট নয়।  দেশের মানুষ আপনাদের জন্য গর্বিত। ‘