নিট-এ অকৃতকার্য হওয়ায় আত্মহত্যা ছেলে ও বাবার, শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনার আশ্বাস তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর 

চেন্নাই , ১৪ আগস্ট – মেডিক্যালের এন্ট্রান্স পরীক্ষা  নিট-এ উত্তীর্ন হতে না পেরে আত্মঘাতী হন এক পড়ুয়া। অকৃতকার্য হওয়ায় পর বাড়িতেই আত্মঘাতী হন। চেন্নাইয়ের ক্রোমপেটে ১৯ বছরের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রবিবার। পরদিন, সোমবারই বন্ধ ঘর থেকে ফের উদ্ধার হয় বাবার ঝুলন্ত দেহ। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুলিশ জানায় , ছেলের মৃত্যুশোকে ভেঙে পড়েছিলেন বাবাও , সেই কারণেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনিঁ।

উচ্চমাধ্যমিকে ৪২৭ নম্বর পেয়েছিলেন জগদীশ্বরন। মেডিক্যালের এন্ট্রান্সের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসেও মেডিকেল নিট -এ উত্তীর্ণ হয়ে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন জগদীশ্বরন। এই অবস্থায় শনিবার বারবার চেষ্টা করেও ছেলেকে ফোনে পাচ্ছিলেন না সেলভাসেকর। এর পর বাড়িরই একটি ঘর থেকে ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরদিন সকালে সেলভাসেকরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে  তামিলনাড়ু পুলিশ। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। পাশাপাশি ছাত্রদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা , খুব দ্রুত শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনবে সরকার। 
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে লেখেন , ‘যুবসমাজ যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমার পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। খুব দ্রুত শিক্ষা ব্যবস্থায় বদল আনা হবে।’ তিনি লেখেন, ” রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় যে বদলের কথা আমরা বলেছিলাম , তা আর কয়েক মাসের মধ্যেই হবে। এনইইটি-র দেওয়াল ধসে যাবে। যারা বলেছিল, ‘আমি স্বাক্ষর করব না’ , তারা হারিয়ে যাবে।” মূল কথা হল , নিট-এর চাপ কমাতে নতুন ব্যবস্থা আনতে চলেছে তামিলনাড়ু সরকার।       ‘    
প্রথম দিন ছেলে এবং পরের দিন বাবার আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। অতিরিক্ত উচ্চাশা এবং মানসিক চাপে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়, যার শিকার ছাত্র এবং অভিভাবক উভয়েই । কিন্তু পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন । পড়ুয়াদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আত্মহত্যার কথা ভেবো না, বরং আত্মবিশ্বাসী হও, জীবন উপভোগ করার চেষ্টা করো।”