আনন্দ মোহনের মুক্তি নিয়ে বিহার সরকারকে নোটিস শীর্ষ আদালতের  

দিল্লি, ৮ মে –  রাজ্যের প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিংহকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে বিহারে নীতীশ কুমার সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট।  বিহারের প্রাক্তন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনে দোষী সাব্যস্ত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ মোহন সিংহ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই বিষয়ে বিহার সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।

বিহারে জেলাশাসক খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহন। তাঁর মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া আবেদন গ্রহণ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ১৯৯৪ সালে বিহারের প্রাক্তন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন আনন্দ। বিহারে আগে কর্তব্যরত সরকারি কর্মী খুনে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি নিষিদ্ধ ছিল। সেই নীতির বদল ঘটেছে । নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী খুনের অপরাধীর যদি ১৪ বছর জেল খাটা হয়ে যায়, তবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই কারণেই মুক্তি পান আনন্দমোহন সিংহ -সহ ২০ জন।

আনন্দমোহনের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নিহত আইএএস অফিসার কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী উমা। তাঁর দাবি, ১৪ বছর জেল খাটলেও সাজা পূরণ হয়নি প্রাক্তন সাংসদের। সুপ্রিম কোর্টের একটি পুরনো রায়ের উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসাবে। তাই দণ্ডিতের আজীবন কারাবাসের সাজা হওয়া উচিত ।

বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ক্ষমতায়  টিকে থাকতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ সব করছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আনন্দমোহনের সাহায্য নিতেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।