নেপালে সমলিঙ্গের বিয়ে, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় নজির সৃষ্টি করল নেপাল 

Transgender woman Maya Gurung (R) and Surendra Panday pose for a picture in Kathmandu, Nepal, 28 June 2023. EFE/EPA/NARENDRA SHRESTHA

 কাঠমান্ডু, ৩০ নভেম্বর– আইনি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিয়ের ক্ষেত্রে। বৈবাহিক সম্পর্কের স্বীকৃতি ছিল না। ৩৫-বছরের মায়া গুরুং একজন রূপান্তরকামী। সুরেন্দ্র পাণ্ডে সমকামী, বয়স ২৭। নেপালের সমলিঙ্গের এই দুই ব্যক্তি সংসার শুরু করেছেন ৬ মাস আগে । পশ্চিম নেপালের দরদি পুরসভায় বুধবার তাঁদের বিয়ে সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয় যৌন সংখ্যালঘু শ্রেণি হিসেবে। গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সমলিঙ্গের বিয়েতে সায় দিয়ে নজির সৃষ্টি করল ভারতের নিকট প্রতিবেশী দেশ নেপাল।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়েতে সায় দেয়নি। শীর্ষ আদালত ২ মাস আগে জানিয়ে দেয়,  এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার ও সংসদ। অন্যদিকে, নেপালের সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই সমলিঙ্গের বিয়েতে সায় দিয়েছে। সেই মতো দেশটির নতুন সংবিধানে এই অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেখানে যৌনতার কারণে সংখ্যালঘু শ্রেণিতে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলা আছে।

কিন্তু সংবিধানে বদল ঘটানো হলেও দেশে এই ধরনের বিয়েতে সায় দেওয়ার কোনও আইন ছিল না। তাই ছয়মাস আগে দরদি পুরসভা মায়া ও সুরেন্দ্রর বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে রাজি হয়নি। অবশেষে আইনি জটিলতা কাটে।  বুধবার দু’জনের বিয়ে নথিভুক্ত করে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয় দু’জনের হাতে।


এদিকে, ভারতে সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়েতে অনুমতি সংক্রান্ত রায় পুনরায় খতিয়ে দেখতে সম্মত হয়েছে। এই ব্যাপারে আদালতে দায়ের হওয়া মামলায় সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলাকারীদের বক্তব্য, দু’জন প্রাপ্ত বয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের মধ্যে যৌন সম্পর্ক দেশে এখন বেআইনি নয়। অথচ তাদের বিয়ের স্বীকৃতি নেই। ফলে নাগরিক হিসাবে মৌলিক অধিকার থেকে বহু মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।