প্রথমবার দেশি অস্ত্রেই শক্তি প্রদর্শন, প্রজাতন্ত্রের প্রধান আকর্ষণ অগ্নিবীররা

দিল্লি, ২৫ জানুয়ারি– বিদেশ থেকে কেনা বা ধার করা অস্ত্রের প্রদর্শন হবে নয়, এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে দেশে তৈরি সমস্ত অস্ত্রের প্রদর্শন করা হবে। মোদির ভারতকে আত্মনির্ভর করে তোলার বার্তা সফল করতেই এই আয়োজন। এই প্রথমবার ২১ বারের তোপধ্বনিতে (২১ গান স্যালুট) ব্যবহার করা হবে দেশে তৈরি ‘১০৫ এমএম ইন্ডিয়ান ফিল্ড গান’। সঙ্গে অগ্নিবীর বিতর্ক থামাতে অগ্নিবীররা যোগ দেবেন কুচকাওয়াজে। সঙ্গে অংশ নেবেন বিএসএফের ‘ক্যামেল’ বাহিনীর মহিলা সৈনিকরাও। ‘নারীশক্তি’র প্রতীক হিসাবে কুচকাওয়াজে অং‌শ নেবেন নৌবাহিনীর ১৪৪ জন জওয়ান। যাঁদের নেতৃত্ব দেবেন মহিলা আধিকারিকরা।

প্রজাতন্ত্র দিবস নিয়ে রাজধানী দিল্লির বুকে সাজো সাজো রব। শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। এই বছরের আয়োজনে নজর কাড়তে চলেছে ৩,৫০০ ড্রোনের শো, সঙ্গে কৈলাস খেরের সুরের মুর্চ্ছনায় মাতবে গোটা রাজধানী।

প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ আল সিসি। এছাড়াও মিশরের ১২০ জনের একটি দলও আসতে চলেছেন বলে জানা গেছে।


প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে শক্তি প্রদর্শন করবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’। এ ছাড়াও ‘এএলএইচ ধ্রুব’ ও ‘এএলএইচ রুদ্র’ কপ্টারকেও দেখা যাবে। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহব্যাপী উদযাপন শুরু হচ্ছে মিলিটারি ট্যাটু দিয়ে। চলবে আদিবাসী নৃত্য উৎসব। এই অনুষ্ঠানের থিম ‘আদি শৌর্য পর্ব পরাক্রম কা’। জানুয়ারি মাসের ২৩ থেকে ২৪ পর্যন্ত অনুষ্ঠান রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে। এই অনুষ্ঠান নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পালন করা হচ্ছে।

৩,৫০০ টি ড্রোন নিয়ে এক বিশেষ শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবনের মাথায় আলোকসজ্জাকে নয়া রূপ দিতে চলেছে এই ড্রোন শো।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মোট ৫০ টি বিমান ও হেলিকপ্টারের ফ্লাইপাস্ট হবে। যার মধ্যে যুদ্ধবিমান থাকবে ২৩টি। গতবারের মতোই এবারও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রকল্পে নিযুক্ত শ্রমিকদের। যাঁদের নামকরণ করা হয়েছে শ্রমযোগী।