রাহুলের ২ বছরের জেল-যাত্রায় ৩০ দিনের স্থগিতাদেশ 

সুরাত, ২৩ মার্চ– মোদি পদবী নিয়ে টিপ্পনির মামলায় গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুরাতের আদালত রাহুল। বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ১১টায় কিছুক্ষণ পরেই সাজা ঘোষণা করে আদালত। বিচারক রাহুল গান্ধিকে দু’বছরের হাজত বাসের সাজা দেন। কিন্তু সেই সাজা ঘোষনার পরক্ষনেই সুরাতের কোর্টে দাঁড়িয়েই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানালেন রাহুল। তিনি উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানান। ফলে আপাতত এই সাজার নির্দেশ স্থগিত করে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য ৩০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে।

২০১৯ সালে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধি মন্তব্য করেছিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যাঁরাই দুর্নীতি করছেন তাঁদেরই পদবী মোদী। নীরব মোদি টাকা লুঠ করে পালিয়ে গিয়েছেন। আর যিনি তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তিনিও একজন মোদি । দু’জনেই একই রাজ্যের।’

এরপরেই গুজরাতের বিজেপির এক প্রাক্তন বিধায়ক, সাংসদ আদালতে মামলা করেন। তাঁরও পদবী মোদী। তিনি আদালতে বলেন, মোদী পদবীকে রাহুল গান্ধী অপমান করেছেন।


সেই মামলারই এদিন চূড়ান্ত রায় দান ছিল। সশরীরে সুরাতের আদালতে হাজির ছিলেন রাহুল। দোষী সাব্যস্ত করার পর, সাজা ঘোষণার আগে রাহুলকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, আপনার কিছু বলার আছে? আপনি কি অনুতপ্ত? জবাবে রাহুল বলেন, ‘রাজনীতির মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলেছি। এখানে অনুতাপের কোনও বিষয় নেই।’ মামলাকারীর আইনজীবীরা তখন আর্জি জানান, রাহুল গান্ধী একরোখা মনোভাব দেখাচ্ছেন। ওঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।

তারপর বিচারক রাহুলকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান। পাল্টা রাহুল বলেন, তিনি এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাবেন। যেহেতু তিন বছরের কম কারাদণ্ডের সাজা তাই সুরাতের ওই আদালতই রাহুলের জামিন মঞ্জুর করে। তাঁকে নির্দেশ দেয়, জেলযাত্রার এই সাজা আপাতত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করা হল। এই সময়ের মধ্যে রাহুলকে উচ্চতর আদালতে পিটিশন দাখিল করতে হবে। তারপরেই আদালত থেকে বেরিয়ে যান রাহুল।

সন্দেহ নেই এই মামলায় রাজনীতি ঠাসা রয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, মোদীর সঙ্গে রাজনীতিতে লড়তে না পেরে রাহুল ব্যক্তি আক্রমণে চলে গিয়েছেন। পাল্টা কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলকে টার্গেট করে নিয়ে হেনস্থা করছে বিজেপি। এখন দেখার রাহুল কবে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেন।