রেলের যাত্রী নিরাপত্তায় মাত্র ১১ শতাংশ নজরদারি ক্যামেরা 

দিল্লি, ১৯ আগস্ট– রেল মন্ত্রকের সূত্রই যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দেশের ১১ শতাংশেরও কম রেল স্টেশনে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। মন্ত্রক সূত্রে পাওয়া এই তথ্য সামনে আসার পরই ভারতীয় রেলের যাত্রী নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তলানিতে ।

নরেন্দ্র মোদি জমানায় নাকি এই ধরনের নানা যুগান্তকারী কাজ হয়েছে। এই দাবিই বারবার করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলের ছোট-মাঝারি-বড় বিভিন্ন মাপের নেতা। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দেখা যাচ্ছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি।

ভারতীয় রেলে বর্তমানে কোঙ্কন ছাড়া রয়েছে আরও ১৭টি জোন। যার সম্মিলিত স্টেশন সংখ্যা প্রায় ৭,৩৪৯। এর মধ্যে মাত্র ৭৯৯টি স্টেশন রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে। শতাংশের বিচারে যা মাত্র ১০.৮৭ শতাংশ। আর কোঙ্কন জোন ধরলে ভারতীয় রেলের অধীনে থাকা স্টেশনগুলির মধ্যে মাত্র ৮৬৬টি স্টেশনে রয়েছে সিসিটিভি। যার মধ্যে কোঙ্কন জোনের স্টেশন ৬৭টি। সর্বাধিক সিসিটিভি-র অধীনে ১১৩টি স্টেশন রয়েছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে জোনে।


দ্বিতীয় স্থানে নর্দার্ন রেলওয়ে (১০৬টি)। তৃতীয় স্থানে থাকা ওয়েস্টার্ন (৬৫টি) জোনের থেকে অনেকটা পিছিয়ে ইস্টার্ন (২৭টি) রেলওয়ে। সব থেকে কম ২৫টি করে স্টেশনে সিসিটিভি রয়েছে নর্থ-ইস্টার্ন এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন জোনে। কলকাতা মেট্রো রেলওয়ের ৩৩টি স্টেশনে রয়েছে সিসিটিভি। অথচ ব্লু (২৬), গ্রিন (৮) ও পার্পল (৬) লাইন মিলিয়ে মোট স্টেশন সংখ্যা ৪০। সূত্রের খবর, পার্পল লাইনের বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি। যার মধ্যে রয়েছে সিসিটিভি লাগানোর কাজও। এছাড়া দেশজুড়ে যে বিপুল সংখ্যক ট্রেন চলাচল করে, তার মধ্যে মাত্র ৭,২৬৪টি কোচে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মতে, সেন্ট্রাল জোনের অন্তর্গত মুম্বই লোকাল ট্রেনের ৭৭১টি লেডিজ স্পেশাল কোচে সিসিটিভি বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৯৯টি কোচে রয়েছে সিসিটিভি। চলতি অর্থবর্ষে আরও ৫৮৯টি কোচে সিসিটিভি বসানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে তার পরেও নজরদারির আওতার বাইরে থাকছে বহু স্টেশন, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি। যা মোদির ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র প্রচারের ফানুস অনেকটাই ফুটো করে দিচ্ছে।