‘ “পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান” দেশের শিল্পীদের জন্য, সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাঁদের তৈরী পণ্য দেশ-বিদেশে পৌঁছে যাবে ‘ বললেন প্রধানমন্ত্রী 

দিল্লি, ১১ মার্চ – গত ১ ফেব্রুয়ারিতে পেশ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নতুন কী কী সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসছে তা নিয়ে শনিবার  আলোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  “পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান” ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-এ  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে উদ্যোগগুলি ঘোষণা করা হয়েছে, তা কীভাবে সুসম্পন্নভাবে কার্যকর করা যায়, সেই সংক্রান্ত নতুন চিন্তাধারাকে আহ্বান জানাতেই এই ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

এ দিন “পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান” প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজকের ওয়েবিনার দেশের কোটি কোটি দক্ষ ও প্রতিভাবান মানুষদের জন্যই আয়োজন করা হয়েছে। যত আমরা নিজেদের দক্ষতায় শান দেব, যত নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাব, ততই ভাল ফল পাব আমরা। পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমও এই চিন্তাধারারই ফল।”

এ দিনের ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিগত কয়েক বছরে দেশে স্কিল ইন্ডিয়া মিশন ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারগুলির মাধ্যমে আমরা দেশের যুব প্রজন্মকে আরও দক্ষ করে তুলতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে সাহায্য করেছি। বহু মানুষ পূর্বপুরুষের ও ঐতিহ্যশালী পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন যথাযথ সুযোগের অভাবে। পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান দেশের শিল্পী ও কারিগরদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। শিল্পীদের সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের তৈরি পণ্য যাতে দেশ-বিদেশে পৌঁছে যেতে পারে, সেই প্রচেষ্টাই করছি আমরা।”


শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ ও শহরতলির অর্থনীতিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গ্রাম স্বরাজ নিয়ে মহাত্মা গান্ধী যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাতে গ্রামের প্রতিটি শ্রেণির উন্নয়ন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। শুধুমাত্র কৃষিকাজ বা অন্য কোনও চাষ নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। পিএম বিশ্বকর্মা স্কিম দেশের কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করবে। প্রত্যেক শিল্পী যাতে সহজেই ঋণ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মানের লক্ষ্য হল শিল্পীদের পণ্য ও পরিষেবাকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া এবং পণ্যের গুণমান বৃদ্ধি করা। আন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভ্যালু চেইনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেই এই লক্ষ্য অর্জন করা হবে। এই ওয়েবিনারে মোট চারটি থিম রয়েছে, এগুলি হল- আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা, উন্নত স্কিল ট্রেনিং. আধুনিক প্রযুক্তি ও পণ্য ব্যবহারের সুযোগ।

কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রকের সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিশেষজ্ঞ, শিল্পী, উদ্যোগপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। বাজেটে ঘোষণা করা বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্যোগকে কীভাবে সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয় এই ওয়েবিনারে।