‘আদি মহোৎসব’ -এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, পরে দেখলেন আদিবাসী হস্তশিল্পের জ্যাকেট 

জাতীয় স্তরে আদিবাসী হস্তশিল্প ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ‘আদি মহোৎসব’-র আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দিল্লিতে মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার এই জাতীয় আদিবাসী উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। আদিবাসীদের কাজ তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক। এদিন স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরসা মুন্ডাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য জনজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে ট্রাইবাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট ফেডারেশন লিমিটেড  এই’আদি মহোৎসবের’ আয়োজন করেছে। এখানে আদিবাসী সংস্কৃতি, হাতের কাজ, খাবার, হস্তশিল্প তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রের তরফে প্রতি বছরই এই উৎসবের আয়োজন করা হয় । এবার মেজর ধ্যানচাঁদ জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার আদিবাসী শিল্পী এই মহোৎসবে অংশ নিয়েছেন ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  এদিন বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে আদিবাসীদের হাতে তৈরি জিনিস দেখেন। এমনকি একটি কোট গায়ে পরেও দেখেন। তিনি এদিন বলেন,  আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ আমার কাছে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও অনুভূতির বিষয়।”


মোদি এদিন কংগ্রেসকে বিঁধে বলেন, “একবিংশ শতাব্দীর ভারত ‘সবকা সাথ,সবকা বিকাশ’ মন্ত্রে হাঁটছে। পূর্ববর্তী সরকারের শাসনে বাঁশ কাটা এবং এর ব্যবহার আইনত নিষিদ্ধ ছিল। আমরা বাঁশকে ঘাসের শ্রেণিতে নিয়ে এসেছি এবং এর উপর সমস্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছি। এর ফলে বাঁশের পণ্যগুলি এ শিল্পের অংশ হয়ে উঠছে।” তিনি বলেন, “ ভারতের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলির চাহিদা, বিশেষত উপজাতি সম্প্রদায়ের তৈরি পণ্যগুলির চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। উত্তর-পূর্বের পণ্যগুলি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। বাঁশের পণ্যের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।  দিল্লি থেকে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে তাঁদের প্রতিভা জনসমক্ষে তুলে ধরছে সরকার।”