রাজৌরির জঙ্গলে সেনার গুলিতে নিহত পাক জঙ্গি 

রাজৌরি, ২৩ নভেম্বর –  জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে বড় সাফল্য মিলল। বৃহস্পতিবার সকালে সেনার গুলিতে নিকেশ হয়েছে এক পাকিস্তানি জঙ্গি। জানা গিয়েছে, লস্করের শীর্ষপদে ছিল ‘কোয়ারি’ নামের এই পাক জঙ্গি। উল্লেখ্য, গতকাল রাজৌরি জেলার সোলকি অঞ্চলে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় চার সেনাকর্মীর। এরপর বৃহস্পতিবার তার পাল্টা জবাব দিল সেনা। নিহত ওই জঙ্গি আইইডি তৈরিতে পারদর্শী ছিল বলে জানা গিয়েছে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, পাক অ্যান্ড আফগান ফ্রন্ট থেকে সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য ছিল ওই নিহত জঙ্গি। গত এক বছর ধরে সে রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের মাস্টারমাইন্ড ছিল।রাজৌরির কালাকোট জঙ্গলে ঘাঁটি ছিল ওই লস্কর জঙ্গির। সেনার দাবি, নিহত জঙ্গি আইইডি বিশেষজ্ঞ তো বটেই, স্নাইপারেও প্রশিক্ষিত।

নিহত জঙ্গি সম্ভবত ডাংরি ও কান্দি হামলারও মাস্টারমাইন্ড ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির আপার ডাংরি গ্রামে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরপর ২ দিনে আপার ডাংরি গ্রামে এক শিশুসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার কালাকোট জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলে। জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন এক মেজর , একজন ক্যাপ্টেন এবং ২ জন জওয়ান। গুরুতর আহত হন আরও তিন জওয়ান। উধমপুরের সেনাবাহিনীর কমান্ড হাসপাতালে তাঁরা    চিকিৎসাধীন। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর,  ভোররাতে গুলির লড়াইয়ে বিরতির পর সকালে ফের লড়াই শুরু হলে খতম হয় লস্কর জঙ্গি।


চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে রাজৌরি জেলার কান্দি এলাকায় সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ সেনা জওয়ান শহিদ হন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়, সংঘর্ষ চলাকালীন আইইডি বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই দুই সেনা শহিদ হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তিন সেনার।