উইঘুর মুসলিমদের ওপর নতুন অত্যাচার, ‘রোজা’ রাখতেও বাধা চিনের

বেইজিং, ১৪ এপ্রিল– উইঘুরেদের ওপর চিন সরকারের অত্যাচারের খবর আগেও বহুবার সামনে এসেছে। নানাভাবে উইঘুরে মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এসেছে জিংপিং সরকার। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে জিনপিং প্রশাসনের আগ্রাসনের অভিযোগ বারবার উঠেছে। আত্মপক্ষ সমর্থনে নানা সাফাইও দিতে দেখা গিয়েছে চিনকে। এবার জানা গেল, পবিত্র রমজান মাসে উইঘুররা যাতে রোজা না রাখে তা নিশ্চিত করতে চিনের পুলিশ গুপ্তচর ব্যবহার করছে! এক সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ তেমনই।

এক পুলিশ অফিসার ওই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, চিনে গোয়েন্দাদের ‘কান’ বলা হয়। তারা সাধারণ নাগরিক, পুলিশ ইত্যাদি সেজে ঘুরে বেড়ায়। এই ধরনের ‘সিক্রেট এজেন্ট’ যে অনেক রয়েছে তাঁদের দেশে সেটাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁরাই নজর রাখছেন কোনও উইঘুর মুসলিম রোজা রাখছেন কিনা।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকেই উইঘুর মুসলিমদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছিল জিনপিং প্রশাসন। সেই সময় থেকেই ‘পুনর্শিক্ষা’ শিবির গড়ে উইঘুরদের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ভাষাকে ধ্বংস করার প্রয়াস করতে শুরু করে চিন।গত বছর চিনের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছিল, ওই প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগের কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হয়েছে।


এদিকে গত বছর প্রকাশিত রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁদের।