ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ মণিপুরে 

ইম্ফল, ২২ আগস্ট – মণিপুরের জনজাতি এলাকায় প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।  মেইতেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দুটি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে মণিপুরে। মণিপুরের কুকি-জ়ো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সংগঠনগুলির হুমকি দিয়েছিল, তাদের দাবি মানা না হলে, নাগাল্যান্ডের বাণিজ্যকেন্দ্র ডিমাপুরের সঙ্গে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের সংযোগ রক্ষাকারী জাতীয় সড়ক-২ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হবে।  ‘জনজাতি ঐক্য কমিটি’ বা সিওটিইউ সংগঠনটি  কয়েকটি জনজাতি সংগঠনের যুক্তমঞ্চ। তাদের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ‘যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির বদলা হবে না, ততদিন পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে।’’

ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য দুটি জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হল মণিপুরে।  কুকি জনগোষ্ঠীর অভিযোগ, পাহাড়ি এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাতে বাধা দিচ্ছে মেইতেইরা। এই অভিযোগে ইম্ফল থেকে ডিমাপুর , জাতীয় সড়ক -২ এবং ইম্ফল থেকে জিরিবাম , জাতীয় সড়ক – ৩৭ অবরোধ শুরু হয়। কাংগোকপি এলাকায় রাস্তায় নামেন প্রচুর মহিলারাও।  পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে বাধা দেন তাঁরা।

কট্টরপন্থী জনজাতি সংগঠন ‘কুকি-জ়ো ড়িফেন্স’ ফোর্স আগামী ২৬ অগস্ট থেকে অনির্দিষ্ট কালের পথ অবরোধের ঘোষণা করে সোমবার। প্রসঙ্গত, সিওটিইউ-র সম্পাদক লামিনলুন সিংসিট গত ১৭ অগস্ট অভিযোগ তুলেছিলেন, জনজাতি এলাকাগুলিতে খাবার , ওষুধ  নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস  প্রয়োজনমতো সরবরাহ করা হচ্ছে না। পরিস্থিতির বদল না হলে তিন দিন পরে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সেই ‘চরম সময়সীমা’ শেষ হওয়ার পর সোমবার থেকেই বেশ কিছু এলাকায় শুরু হয়ে যায় পথ অবরোধ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি  কুকি-জ়ো জনজাতি গোষ্ঠীর মহিলারা দিল্লিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে ত্রাণ পাঠাচ্ছে, তা পাহাড়ি আদিবাসী এলাকায় সঠিক ভাবে বণ্টন করা হচ্ছে না।  মেইতেই প্রভাবিত মণিপুর সরকারকেই এজন্য দায়ী করে তারা।  ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ করার জন্য জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে পৃথক প্রশাসনের দাবি তোলে তারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।