ত্রিপুরায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের দেখতে গিয়ে ফের আক্রান্ত সাংসদরা, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে  

আগরতলা , ১১ মার্চ – ত্রিপুরায় ভোটপর্ব  মিটে গিয়ে নতুন সরকারের শপথ নেওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ থামেনি । বাম-কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের কর্মীদের আক্রমণ করছে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেসের কয়েকজন সাংসদ সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় গেলে তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর, বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সন্ত্রাসের মুখে কর্মসূচি বাতিল করে আগরতলায় ফিরে আসতে বাধ্য হন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ মোহনপুরে ও বিশালগড়ে আক্রান্ত হয়েছেন সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

মোহনপুরে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের প্রতিনিধি সাংসদ দল। তারপরেই জয় শ্রীরাম স্লোগানে বিশালগড়ে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাংসদ দলের উপর আক্রমণ চালায় বিজেপি।বিশালগড়ের নেহালচন্দ্রনগরে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সাংসদ দলের উপর বিজেপির আক্রমণ, ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি৷ তাদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা নানা জায়গায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন৷ অন্য দিকে শনিবারই ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় বিজয় মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, যে সব জেলায় বা মণ্ডলে এখনও অবধি বিজয় মিছিল হয়নি তারা সেই বিজয় মিছিল করবে।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, সাংসদ দলের দু’দিন ধরে সন্ত্রস্ত এলাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও শনিবারের কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। শনিবার রাজ্যপাল সময় দিলে তাঁরা রাজভবনে গিয়ে অভিযোগ জানাতে চান।


পুলিশের বক্তব্য, বাম ও কংগ্রেস নেতাদের নেহালচন্দ্রনগরে যাওয়ার কথা তাঁদের সফরসূচিতে ছিল না। তবে ঘটনাস্থলে কিছু মানুষ তাঁদের দেখে স্লোগান দেয়। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, তাদের তৎপরতায় দ্রুত প্রতিনিধিদলকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য দুষ্কৃতীদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।