ন্যাশভিল এসসির বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতল মেসি।

ইন্টার-মায়ামি:- ন্যাশভিল এসসির বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতল মেসি। শুরু থেকে শেষ নাটকীয়তা ছিল প্রতি মুহুর্তে। শেষ পর্য‌নন্ত বাজিমাত করল মেসি বাহিনিই। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র থাকার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে নেয় ১০-৯ গোলে। ম্যারাথন পেনাল্টি শুট আউট চলে। শেষ পর্যন্ত শট নিতে হয় গোলরক্ষকদেরও। সেখানেই বাজিমাত ইন্টার মায়ামির। অবশ্য ম্যাচ শুরু থেকেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে ন্যাশভিল। নিজেদের রক্ষণ আগলে রেখে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে দলটি। তাতে বেশ সফলও হচ্ছিলো তারা। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরে মেসি আছেন। প্রথমার্ধেই গোল করে দলকে লিড দিলেন। যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মায়ামির অন্যতম কর্নধার ডেভিড বেকহ্যাম। গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে ন্যাশভিল। কিন্তু মায়ামির পোক্ত রক্ষণের কাছে এসে খেই হারিয়ে ফেলতে থাকে তারা। মায়ামিও কয়েকটি সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়। ১-০ গোলের লিড নিয়ে সাজঘরে ফেরে মেসির দল। ম্যাচের ৫৭ মিনিটেই স্কোরলাইন ১-১ সমতা আনেন ন্যাশভিলের ফাপা পিকাল্ট। নির্ধারিত সময়ে কোনও দলই গো‌ল করতে পারেনি, ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে মেসিকে নিরাশ করেননি তাঁর সতীর্থরা। ম্যারাথন পেনাল্টি শুটআউটে দুই দল ১০টি করে শট নিয়ে ফেলেছে, টাইব্রেকারে তখন ৯-৯ এ সমতায়। দারুণ শটে গোল করলেন ইন্টার মায়ামির গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। এরপর প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট আটকে দলকে এনে দেন শিরোপাও। গত ডিসেম্বরে ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্রফি জয়ের পর ইন্টার মায়ামিকে প্রথম বার লিগস কাপ চ্যাম্পিয়ন করার চ্যালেঞ্জ ছিল মেসির সামনে। সেটা করে দেখালেন মেসি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবল ছেড়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমানোর পর প্রথম ট্রফি জিতলেন মেসি। কেরিয়ারে এটি তাঁর ৪৪-তম খেতাব। ৩টি দেশের ক্লাবের হয়ে খেলেই ট্রফি পেলেন মেসি। ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন বার্সেলোনায়। প্যারিস সাঁ-জা-র হয়ে খেলার সময়ও ফ্রান্সের লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার ইন্টার মায়ামির হয়ে প্রথম টুর্নামেন্ট খেলেই চ্যাম্পিয়ন হলেন। নতুন ক্লাবের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলেছেন মেসি। এর মধ্যেই তাঁর ১০ গোল হয়ে গেল এলএমটেনের।