জঙ্গিদের হাতে এসডিপিও হত্যায় ফের উত্তাল মণিপুর 

ইম্ফল, ৩১ অক্টোবর– মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং শান্তি ফিরেছে বললেল মণিপুর যে এখনও হিংসা কবলিত তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেল সরকারি কর্তার হত্যায়। প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও মণিপুর যে সেই হিংসা কবলিত মণিপুরী আছে তাই প্রমাণিত হল ফের একবার। ফের রক্ত ঝরল হিংসাদীর্ণ মণিপুরে। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সরকারি আধিকারিক। আধিকারিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং।অপরাধীদের খুঁজে দ্রুত শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

পিটিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মণিপুরের সীমান্তবর্তী মোরেহ শহরে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের পরিচয় চিংথাম আনন্দ মোরেহর সাব ডিভিশনাল অফিসার হিসেবে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন চিংথাম শহরের উত্তরাঞ্চলে নির্মীয়মাণ হেলিপ্যাড পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চিংথাম আনন্দ। সেই সময় তাঁর উপর হামলা করে আততায়ীরা। গুলি করে করা হয় তাঁকে। আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের খুঁজতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। 

এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং । নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ঘটনার কথা শুনে আমি মর্মাহত। আজ সকালে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে এসডিপিও চিংথাম আনন্দকে। তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অপরাধীরা উচিত শাস্তি পাবে।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মণিপুরে শান্তি ফিরছে বলে জানিয়েছিল বিরেন সিংয়ের সরকার। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে। সেপ্টেম্বর মাসেই নিজের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় থাংথাং কম নামে এক সেনাকর্মীকে। মাথায় গুলি করে খুন করা তাঁকে। গত ছয় মাস ধরে কুকি-মেতেই গোষ্ঠী হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। এখনও সেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। 

অন্যদিকে, ভোটপ্রচারে মণিপুর সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির। কিন্তু কোনও কারণ না দেখিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটের প্রচারে মিজ়োরামে আসা বাতিল করে দিয়েছেন। তবে এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি বিরোধী শিবির কংগ্রেস। মোদির এই সিদ্ধান্ত নতুন করে কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। সোমবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, মণিপুরের সংঘর্ষ ও সঙ্কট নিয়ে এত দিনের নীরবতার জন্যই লজ্জায় মিজ়োরাম সফর বাতিল করতে হল মোদিকে । তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘১৮০ দিন ধরে অশান্ত মণিপুরে এক বারও আসার সময় পাননি মোদি, কিন্তু তাদের পাশের রাজ্যে তিনি ভোট প্রচারে এলে প্রশ্ন উঠতই। তিনি কোন মুখে মিজ়োরামে আসতেন? হয়তো তাই তাঁকে সফর বাতিল করতে হল।