মণিপুরে দুই পড়ুয়া খুনে প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার  

ইম্ফল , ১৪ অক্টোবর –  মণিপুরে অপহৃত দুই পড়ুয়া খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে।  গ্রেফতার করল সিবিআই।  অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকেই উধাও হয়ে যান । তাঁর গতিবিধির উপর নজর  রেখেছিলেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।  অবশেষে অভিযুক্ত যুবককে  পুণে থেকে  গ্রেফতার করা হয়। গত ১১ অক্টোবর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। গুয়াহাটির  নিম্ন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ওই যুবককে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরে গত ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন দুই পড়ুয়া। দুই পড়ুয়ার অপহরণ এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হয় উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর।  মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং দাবি করেন , তাঁদের খুন করা হয়নি।  ইম্ফলে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত অভিযোগমাফিক , ওই দুই পড়ুয়ার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি উল্লিখিত রয়েছে। খুন করা হয়েছে, এমন কোনও অভিযোগ সেখানে নেই। সুতরাং যতক্ষণ না ওই দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হচ্ছে, তাঁরা খুন হয়েছেন, এ কথা বলা যাবে না।”

গত জুলাই থেকে ফিজাম হেমানজিৎ এবং হিজাম লিথোইনগাম্বি নামে দুই মেইতেই পড়ুয়া নিখোঁজ । অভিযোগ উঠেছিল, কুকি জঙ্গিরা তাঁদের অপহরণ করেছে। মাস দুয়েক পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর দু’টি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে  একটি ছবিতে এক তরুণ এবং তরুণীকে একটি পাহাড়ি জঙ্গলে বসে থাকতে দেখা যায় । তাঁদের ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র দুই ব্যক্তি। দ্বিতীয় যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছে, ওই দুই তরুণ-তরুণীর দেহ পড়ে রয়েছে। ছবি ভাইরাল হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। অশান্তি রুখতে কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকায় ৬ মাসের জন্য বলবৎ করা হয়  ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ . কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। ইম্ফল পূর্ব জেলার খুরাই সাজোর লেইকাই এলাকায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এল সুসিন্দ্রোর বাসভবন  লন্ডভন্ড করে দেয় উত্তেজিত জনতা।  পুলিশের সঙ্গে  জনতার সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইম্ফল।