দিল্লিতে জেরায় জেরায় জেরবার কেষ্ট 

দিল্লি, ৮ মার্চ –  ইডির জেরায় দিন শুরু হলো অনুব্রত মণ্ডলের। বুধবার সকাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা শুরু করে ইডি। মাঝে আধঘণ্টার জন্য অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ফেরার পর আবার শুরু হয় জেরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে অনুব্রতর মণ্ডলকে হেফাজতে পাওয়ার পর আর দেরি করেনি  ইডি। বিচারকের নির্দেশে অনুব্রতের আইনজীবী তাঁর সঙ্গে রোজ দেখা করতে পারবেন। অনুব্রতকে জেরার সময়েও তাঁর আইনজীবীকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছিলেন অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন। জেরার সময় ইডির আইনজীবীও হাজির থাকতে পারবেন। পুরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করে রাখা হচ্ছে।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে ২০২২ এর অগস্টে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। নভেম্বরে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়  ইডি। গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় গেল, তা জানতে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে রেখে ইডি অনুব্রতকে জেরা করতে চায়। সে জন্যই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের কাছে তাদের আর্জি ছিল, ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে দেওয়া হোক। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে বিচারক রাকেশ কুমার দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে অনুব্রতকে ৩ দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ মার্চ সকালে ফের অনুব্রতকে আদালতে হাজির করাবে ইডি। সেই সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা গরু পাচারের বিপুল টাকার হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করবে। সেই প্রক্রিয়া বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায়। বুধবার ‘হোলি’র দিন ছুটি হলেও ইডির অফিসারেরা অনুব্রতকে তাঁদের সদর দফতরে জেরা করা শুরু করেন।

গরু পাচারের ‘প্রোটেকশন মানি’ নিয়েও জেরা করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, ওই টাকার বড় অংশ অনুব্রত এবং তাঁর পরিজনদের কাছে গিয়েছে। পাশাপাশিই রাইস মিল-সব বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়েও জেরা করা হবে অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। তাঁকে এবং অনুব্রতকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর ।