ভারতে এলেও বিলাবলের সঙ্গে বৈঠক না জয়শঙ্করের 

দিল্লি, ২৬ এপ্রিল– এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর গোয়া আসার কথা। আর এই সফর ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে এসসিও সম্মেলন নয় এখন আলোচনার মূল কেন্দ্র বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং বিলাবলের দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠক হবে কি হবে না, তা নিয়েই। এসসিও-র সভাপতি রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের কাছে যা একেবারেই অবাঞ্ছনীয় বলে মনে করছে সাউথ ব্লক। গোটা জল্পনায় জল ঢালতে তাই মাঠে নামলেন খোদ বিদেশমন্ত্রী। তিনি আজ স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, বিলাবল ভারতে আসবেন শুধুমাত্র এসসিও সংক্রান্ত আলোচনার জন্যই। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক আলোচনার এখন কোনওপরিস্থিতিই নেই।

বুধবার পানামায় সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জানাইনা টিউওয়ানের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে জয়শঙ্কর টেনে আনলেন পাক প্রসঙ্গ। নাম না করে ইসলামাবাদকে সন্ত্রাসের প্রশ্নে এক হাত নিতে দেখা গেল বিদেশমন্ত্রীকে। তিনি জানালেন, সন্ত্রাসবাদকে বাঁচিয়ে রাখে এবং সীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দেয় এমন প্রতিবেশীর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা খুবই কঠিন। জয়শঙ্করের কথায়, “সব কিছুর পর আসল কথা হল আমাদের পক্ষে এমন প্রতিবেশীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন, যে কি না আমাদেরই বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। বরাবরই আমরা বলে আসছি, যে প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিল তাতে তারা অনড় থাকুক। সীমান্ত সন্ত্রাসকে কোনও ভাবে পুঁজি না জোগানো, উৎসাহিত না করা এবং সন্ত্রাস বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের। আমি আশা করি কোনও না কোনও দিন আমরা সেই জায়গায় পৌঁছতে পারব।”

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে দু’দিনের পানামা সফরে এসে শুরুতেই এই ভাবেই প্রতিবেশী পাকিস্তানের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বিলাবলের আসন্ন সফর মোদি সরকারের কাছে এমনিতেই যথেষ্ট অস্বস্তির। প্রসঙ্গত, এই বিলাবলই গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’ পাক বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও চড়ে। ফলে আসন্ন সফরে নয়াদিল্লি যে তাঁকে সামান্য বাড়তি গুরুত্বটুকুও দিতে রাজি নয়, সেটাই আজ প্রকারান্তরে স্পষ্ট করেছেন জয়শঙ্কর।