পেঁয়াজের পর চিনি, রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত

দিল্লি, ২৪ আগস্ট– পেঁয়াজের পর চিনি। দিল্লি একই পথে হেঁটে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পর এবার চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে চলেছে। সাত বছরের মধ্যে এই প্রথমবার চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে চলেছে ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করলে বিদেশে চিনির দাম বাড়তে পারে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, দেশের যেসব রাজ্যে আখ চাষ হয়, সেখানে উপযুক্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। সে কারণে আখের ফলন কম হয়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে অনেক কম ফসল হয়েছে।

 এ দুই রাজ্য অর্ধেক আখের জোগান দেয়। এখানে বৃষ্টি স্বাভাবিকের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। তাই আগামী দিনে দেশের বাজারে যাতে কোনো রকম সংকট দেখা না দেয়, সে জন্য এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাই রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ভারত ১১ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি বিদেশে রপ্তানি করেছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই সপ্তাহে দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। সরকারকে পরিস্থিতি সামলাতে প্রচুর পরিমাণ চিনি বাজারে ছাড়তে হচ্ছে।
এমনিতেই ভারতে এখন খাবারের জিনিসের দাম বাড়ছে। টমেটো এখনো ১০০ টাকা কেজি। আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শাক-সবজির দামও অনেকটা বেড়েছে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত দুই বছর মিলগুলোকে ইচ্ছেমতো চিনি রপ্তানি করতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে সিদ্ধান্ত বদল করতে সরকার বাধ্য হচ্ছে। রপ্তানিতে রাশ না টানলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে।

ভারতের পাশাপাশি থাইল্যান্ডও চিনির রপ্তানি কমাতে পারে। তখন সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারী দেশ ব্রাজিলের ওপর চাপ বেড়ে যাবে। কিন্তু তারা চাহিদা অনুযায়ী চিনির জোগান দিতে পারবে না। ফলে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।