‘সিন্ধু জল চুক্তি’ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান নয়া বিতর্ক 

দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি — ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের জলবন্টন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।  সিন্ধু নদের জলবন্টন নিয়ে ভারত – পাকিস্তান চাপান-উতোর  সাম্প্রতিক কোনো সমস্যা নয়. ১৯৬০ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আয়ুব খানের উপস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিও সব বিরোধ মেটাতে পারেনি।  সেই সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ফের উত্তাপ ছড়ালো।  সম্প্রতি এই চুক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করার আগ্রহ দেখায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক । বৃহস্পতিবার তার প্রতিক্রিয়ায় কড়া ভারতের কড়া জবাব, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা মেটাতে অন্য কোনও পক্ষের প্রয়োজন নেই।

ভারতের তরফে কোর্ট অব আরবিট্রেশনের  সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কেন্দ্রের জবাবে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরে কিষানগঙ্গা ও রাতেল হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রকল্প বিষয়ে দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে আলোচনার বিষয়ও সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন ,   বিশ্ব ব্যাঙ্ক দেশের হয়ে কোনও চুক্তিকে ব্যাখ্যা করার অবস্থানে নেই । ওটা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাকিস্তান সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বিবেচনা ও পরিবর্তনের দাবি জানায় । গত সপ্তাহেই ভারত তার পরিপ্রেক্ষিতে নোটিস পাঠায়। এরপরই বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে পাকিস্তান যে পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়, তার সাপেক্ষে ভারতও যথাযথ পদক্ষেপ করেছে।


নয়া দিল্লির তরফে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাঙ্ক কোর্ট অব আর্বিট্রেশনে গেছে, তা নিয়েও ভারত অত্যন্ত  ক্ষুণ্ণ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় , “ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তির কমিশনার গত ২৫ জানুয়ারি নোটিস জারি করেছে। এই নোটিসে পাকিস্তানকে সরাসরি সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”

সূত্রের খবর , পাকিস্তানের তরফে ভারতের নোটিসের জবাব দেওয়া হয়নি। বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে তাদের প্রতিক্রিয়া কী, সে বিষয়েও জানা যায়নি। ।