সাংসদদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে মিছিল ‘ইন্ডিয়া’র,

‘জাঠ’ পরিচয় উসকে দিয়ে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা ধরকড়ের, দাবি খাড়গের
দিল্লি, ২১ ডিসেম্বর– রং বোমা কাণ্ডে সংসদ যতটা না উত্তাল হয়েছিল তার থেকেই বেশি উত্তাল হতে দেখা যায় সেই প্রসঙ্গে বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভ-ধরনায়৷ কয়েকদিন ধরে সংসদের নিরাপত্তা বিচু্যতি এবং বিরোধীদের সাসপেন্ড করা নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ৷ বৃহস্পতিবারও তার অন্যথা হয়নি৷ এদিন অধিবেশন শুরুর আগে পুরনো সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদেরা৷ তাঁদের হাতে ছিল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ লেখা ব্যানার৷
এই মিছিলে দেখা যায় টিম ইন্ডিয়ার উচ্চস্তরের প্রায় সব নেতাদেরই৷ কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, সঞ্জয় রাউত, রামগোপাল যাদবরা এদিন মিছিলে আগাগোড়া মোদি বিরোধী স্লোগান দিয়ে গিয়েছেন৷ সাংসদদের কলরব,’স্বৈরাচার চলবে না৷’ পরে নতুন সংসদে গিয়ে গান্ধিমূর্তির নিচে জড়ো হন সাসপেন্ডেট সাংসদরা৷ সেখানে যোগ দেন রাহুল গান্ধিও৷ সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে মোদি-শাহদের বিবৃতি দাবি করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা ভঙ্গ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়েছিলাম৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়েছিলাম৷ অথচ ওরা সংসদেই এলেন না৷ প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন৷ আহমেদাবাদে খুলেছেন৷ অথচ, সংসদে কিছু বলছেন না৷ এটা নিয়ম বিরুদ্ধ৷ প্রধানমন্ত্রীর সংসদেই আগে মুখ খোলা উচিত৷’ বিবৃতি প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন সাংসদদের সাসপেনশন নিয়েও অভিযোগ করেন খাড়গে৷ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ধনকড় এই বিতর্কে সুকৌশলে ‘জাঠ’ পরিচয় প্রকাশ্যে এনে জাতপাতের ভাবাবেগ উস্কে দিতে চাইছেন৷ খাড়গের দাবি, সরকারই সংসদ চলতে দিচ্ছে না৷ এই সাসপেনশন সংসদীয় রীতি পরিপন্থী এবং বেআইনি৷ মিমিক্রি কাণ্ডে যেভাবে উপরাষ্ট্রপতি ধনকড় যেভাবে নিজের ‘জাঠ’ পরিচয় উসকে দিয়ে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন সেটারও নিন্দা করেন খাড়গে৷