গেহলটকে জোর করে সরালে পাঞ্জাবের দশা হবে রাজস্থানের

চন্ডিগড়, ২৭ সেটেম্বর– মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজস্থানের রাজনীতি । মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং ছড়িয়ে পড়েছে চারধারে। আর তাতেই বিজেপির দাবি রাজস্থানের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারিই একমাত্র পথ। 

পাঞ্জাবের দশা হবে রাজস্থানের। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়ালের এমনই মন্তব্যকে ঘিরেই গোটা ঘটনা।

অশোক গেহলটের অনুগামীদের দাবি আগে গেহলট কংগ্রেস সভাপতির পদে বসবেন। তারপর তিনিই ঠিক করবেন কে হবেন রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। সচিন পাইলটকে আটকাতেই এই ছক গেহলট শিবিরের। সোমবার গেহলট অনুগামী বিধায়করা বিধানসভায় ধারিওয়ালের ঘরে বৈঠকের পর স্পিকার সিপি যোশীর সঙ্গে দেখা করেন। সেই বৈঠকেই ধারিওয়াল বলেন, অশোক গেহলটকে জবরদস্তি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হলে এখানে পাঞ্জাবের দশা হবে। গেহলটের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীর এই মন্তব্য ভাইরাল হতে রাজস্থানের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ তুলনাটি অর্থবহ। এর অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হলে গেহলট দল ছাড়তে পারেন।


শনিবার সন্ধ্যায় জয়পুরে রাজস্থানের কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক হতে পারেনি গেহলট অনুগামীদের বিদ্রোহের কারণে। সোনিয়ার গান্ধির দুই প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খড়গে ও অজয় মাকেন গতকাল গেহলট সমর্থকদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে দিল্লি ফিরে যান। সোমবার সোনিয়ার গান্ধিকে তাঁরা জয়পুরের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।

 

উল্লেখ্য, এ বছর মার্চে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। ভোটের চার মাস আগে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বদল করেন সোনিয়া, রাহুল। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরঞ্জিত সিং চান্নিকে।