পাঞ্জাবের গুরুদ্বারায় গুলির লড়াই, মৃত ১ কনস্টেবল, আহত ৫

চন্ডীগড়, ২৩ নভেম্বর – পাঞ্জাবের কাপুরথালায় গুরুদ্বারায় চলল গুলির লড়াই। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই ঘটনায় এক কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত পাঁচ জন। ঘটনার জেরে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাপুরথালা প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে , গুরুদ্বারার দখল ঘিরে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এই গুলি চলে। তবে এই হামলার পিছনে কোনও খালিস্তানপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠীর ভূমিকা রয়েছে কি না সে বিষয়ে শেষ পাওয়া খবরে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।  তবে পুলিশ সূত্রে খবর, নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ভুক্ত শিখ গোষ্ঠীর তরফে গুলি চালানো হয়।  সূত্রের খবর, অভিযান এখনও শেষ হয়নি। গুরুদ্বারার ভিতরে চলছে অভিযান। গুরুদ্বারার ভিতর আরও কমপক্ষে ৩০ জন নিহাঙ্গ শিখ রয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রকাশ্যে গুলি চালাল সশস্ত্র শিখ বা নিহাঙ্গরা।  পুলিশ বনাম নিহাঙ্গদের এই গুলি লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক এক কনস্টেবলের।  গুরুদ্বারার দখল ঘিরে বিবাদের জেরে আগেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বলে কাপুরথলার পুলিশ সুপার,হেডকোয়ার্টার) তেজবীর সিং হুন্দাল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকর্মীরা গুরুদ্বারার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিহাঙ্গরা তাঁদের উপর গুলি চালায়।’’
শিখ সম্প্রদায়ের একটি শ্রেণি হল নিহাঙ্গ। মূলত যোদ্ধা শিখদের নিহাঙ্গ বলা হয়। এটি একটি পার্সি শব্দ।  ১৬৯৯ সালে গুরু গোবিন্দ সিং যখন খালসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেখান থেকে নিহাঙ্গ শিখদের জন্ম । সাধারণত নীল পোশাক পরেন নিহাঙ্গরা, মাথয় থাকে ইস্পাতের ডিস্ক বসানো বিশেষ ধরণের  পাগড়ি। তাঁদের সঙ্গে অস্ত্র থাকে।   
২০২০ সালে কোভিড লকডাউন পর্বে পাতিয়ালায় এক পুলিশ কর্মীর হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল নিহাঙ্গ শিখ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই সময় ওই পুলিশ কর্মী লকডাউনের বিধিনিষধ মেনে চলতে বলে। তখনই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।