গুজরাতের গোধরা হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে ফাঁসি দিতে চায় গুজরাত সরকার

গান্ধীনগর , ২০ ফেব্রুয়ারি — সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে সোমবার গুজরাত সরকারের  তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির সেই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে অযোধ্যাফেরত যাত্রীদের দরজা বন্ধ ট্রেনের কামরায় আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। গোধরার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাত দাঙ্গা বাধে। সেই দাঙ্গার সময় গণধর্ষণের শিকার হন বিলকিস বানু নামে এক মহিলা। তাঁর পরিবারের ১৪ জন খুনও হন । সেই ঘটনায় দোষীদের যাবজ্জীবন সাজা  মকুব করে গুজরাতের বিজেপি সরকার গত বছর তাদের মুক্তি দিয়েছে।

ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। গুজরাত সরকারও এই সাজা দাবি করেছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সাজা লঘু করে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় গুজরাত সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বলেন, ধৃতরা জঘন্যতম ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আগুন দেওয়ার আগে ট্রেনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এই অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় গুজরাত সরকার।