ভোটের আগে কর্নাটকে ভাঙনের ইঙ্গিত বিজেপিতে , কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী  

বেঙ্গালুরু, ১৪ এপ্রিল – ইতিমধ্যেই দুই দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হয়েছে। কর্নাটক বিজেপিতে শুরু হয়েছে দফায় দফায় ভাঙন। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক।এবার সেই দলে নাম লেখালেন রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী  লক্ষ্মণ সড়াভি।     টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিলেন সে রাজ্যের  তিন বারের বিধায়ক লক্ষ্মণ সড়াভি। বেঙ্গালুরুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর লক্ষ্মণ বলেন, ‘আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করব না বলেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’

উত্তর কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ এ ক্ষেত্রে ‘আমরা’ বলে নিজের জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে চেয়েছেন বলে অনুমান। প্রসঙ্গত,‘বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক’ হিসাবে পরিচিত কর্নাটকের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী লিঙ্গায়েত। এদেরই একাংশ এ বার কংগ্রেসমুখী বলে কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে দক্ষিণ কন্নড় জেলার ৬ বারের বিজেপি বিধায়ক এস অঙ্গারা বৃহস্পতিবার রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গেও কংগ্রেসের ‘যোগাযোগ’ তৈরি হয়েছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার শুক্রবার বলেন, ‘‘অন্তত ৯-১০ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে আসতে চাইছেন। আলোচনা করে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ আগামী ১০ মে এক দফা বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে হবে ফল ঘোষণা। তার আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং ভাঙনের জেরে ক্ষমতাসীন বিজেপি চাপে পড়েছে বলে একাংশের মত। প্রসঙ্গত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এখনও পর্যন্ত ২১২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি।

মঙ্গলবার প্রথম দফায় ১৮৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা, প্রাক্তন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে এশ্বরাপ্পা ও লক্ষ্মণ, মন্ত্রী এস অঙ্গারা, আনন্দ সিংহ-সহ ১০ জন বিধায়ককে ছেঁটে ফেলা হয় । অন্য দিকে, কংগ্রেস এবং‌ জেডিএস ছেড়ে আসা প্রায় এক ডজন বিধায়ক পদ্ম চিহ্ন পান। বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফায় ২৩ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাতে বাদ পড়েন ৭ জন বিদায়ী বিধায়ক।  প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এশ্বরাপ্পাও ইতিমধ্যে ‘স্বাস্থ্যের  কারণে’ রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।


টিকিট না পেয়ে এমপি কুমারস্বামী, নেহরু ওলেকর, গোলিহত্তি শেখরের মতো প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়করা বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।