ঘুষের বশে আইনজীবী, সন্দেহের তালিকায় বিচারপতিরাও 

তিরুবন্তপুরম, ২৪ জানুয়ারি– আইন-আদালত মানেই দীর্ঘসূত্রিতা। মামলা মোকদ্দমার জালে জড়িয়ে গেলে ঝক্কি তো আছেই, তার ওপর মামলা জিততে বিচারপতির আদেশই শিরোধার্য।  তথ্যপ্রমাণ সহ নিজের বক্তব্য প্রমাণ করতে দরকার যোগ্য আইনজীবীর দক্ষ আইনি লড়াই। যদিও তারপরও বিচারপতির বিবেচনাই শেষ কথা। তবে উলটপুরাণ নাকি এখানেও আছে. যোগ্য প্রাপ্য মিটিয়ে দিলে রায় অনুকূলে চলে আসবে এমন ব্যবস্থাও আছে. 

একজন আইনজীবী আছেন যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে মামলাকারীর। রীতিমতো দর কষাকষি করে তাঁর প্রাপ্য স্থির হয়.  মামলা কতটা জটিল এবং বিচারপতির দাবিমাফিক  ধার্য্য হয় অনুকূল রায়ের দর , এমনটাই অভিযোগ।

ঘটনাটি কেরল হাইকোর্টের। অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম সাইবি জোশ কিদাঙ্গুর। ওই আইনজীবীর সঙ্গে অন্তত তিনজন বিচারপতির যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া মিলেছে। বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আদালত কর্তৃপক্ষের কানে আসে, আইনজীবীদের মারফত । শেষে তদন্তে নামে হাইকোর্টের ভিজিলেন্স উইং। দুদিন আগে তারা প্রধান বিচারপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, কারও কাছ থেকে কুড়ি,  কারও কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার অর্থ নিয়েছেন  ওই আইনজীবী। আরও লজ্জার বিষয় হলো , হাইকোর্টের বেশ কিছু বিচারপতির নাম উঠে এসেছে তদন্তে, যাঁরা ঘুষের টাকা পেয়েছেন এবং সেইমতো রায় দিয়েছেন ওই আইনজীবীর বিচার প্রার্থীর  অনুকূলে।

হাইকোর্ট ভিজিলেন্স উইংয়ের কাছে মালওয়ালি সিনেমার এক প্রযোজক সাক্ষ্য দিয়ে অভিযোগ করেন একটি মামলায় তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন ওই আইনজীবী। ১০ লাখ ওই আইনজীবীর ফি এবং ১৫ লাখ হল বিচারপতির জন্য, এমনটাই বলেন তিনি।

সূত্রের খবর, সরকারিভাবে এখনও আদালত কর্তৃপক্ষ এই রিপোর্ট নিয়ে কোনও পদক্ষেপের কথা জানায়নি। নিয়ম হল, ভিজিলেন্স কমিশনের পুলিশের কাছে রিপোর্ট সহ এফআইআর করার কথা। তবে সন্দেহের তালিকায় বিচারপতিরা থাকায় কী পদক্ষেপ করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই আইনজীবী আবার মাস কয়েক আগে কেরল অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।