গুজরাটে ফের দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

গান্ধীনগর, ১০ জুন – ফের গুজরাটে এক দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ  হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া খাবার প্যাক করে দিতে বলেছিলেন হোটেলের কর্মীকে। কিন্তু বুঝতে পারেননি, এই ‘অপরাধে’ তাঁকে জীবনটাই হারাতে হবে । খাবার নিয়ে কথা বলায় গুজরাটে পিটিয়ে খুন করা হল ওই দলিত ব্যক্তিকে। কয়েক দিন আগেই আরও এক দলিত যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে গুজরাটে । ভাল পোশাক পরায় সেই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুজরাটে দলিতদের উপর হামলার ঘটনা এর আগেও বহু বার খবরে এসেছে। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটল প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে ।

এ বার দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ গুজরাটের খানপুর তালুকে। পুলিশ জানিয়েছে পেশায়  অটোচালক রাজু গত ৭ জুন রাতে হোটেলে খেতে যান । খাওয়া শেষ হলে কিছু খাবার পার্সেল করে দিতে বলেন রাজু। খাবার কম দেওয়া হচ্ছে, হোটেল মালিককে এমন অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু হোটেল মালিক তা মানেন নি।  সেই সময় দুজনের মধ্যে  তুমুল বচসা হয় । অভিযোগ, এর পরই রাজুকে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করেন হোটেল মালিক এবং ম্যানেজার। রাজু প্রতিবাদ করায় প্রথমে তাঁকে শাসানো হয়, তার পর দু’জনে মিলে রাজুকে মারধর করেন। এই ঘটনায় গুরুতর জখম রাজু  বাড়িও  ফেরেন। কিন্তু রাতে পেটে প্রবল ব্যথা শুরু হলে রাজুকে মহীসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বরোদার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয় । শনিবার রাজুর মৃত্যু হয়।

 দলিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি । বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী দলিত ব্যক্তির মৃত্যুতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তাঁর দাবি , যত ক্ষণ না দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে, দলিত ব্যক্তির দেহ নেবে না তাঁর পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ (২) এবং ১১৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও তফসিলি জাতি এবং উপজাতি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।