উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা গ্রাফ 

দিল্লি, ১ জানুয়ারী – নতুন বছরকে ঘিরে উৎসবের আবহেই করোনার ক্রমবর্ধমান গ্রাফ চিন্তা বাড়িয়েছে গোটা দেশের। গত সাত মাসের তুলনায় গত সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণের হার বেড়েছে ২২ শতাংশ। গত ৭ দিনে ১০টি রাজ্যে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জে এন-ওয়ান। প্রতিদিনই করোনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। গত সাতদিনে দেশে মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার ২ জন। আগের সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭। তবে কেরলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশের প্রথম জে এন. ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে এই কেরলেই। চার সপ্তাহ ধরে করোনা দাপট দেখানোর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে কোভিড সংক্রমণ ২৪ শতাংশ কমেছে।

নতুন বছরের শুরু থেকেই করোনার চোখ রাঙানি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৬ জন। কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে গত ৭ দিনে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহের মধ্যে কর্নাটকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২২। মহারাষ্ট্রে ১০৩ থেকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২০।


করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জে এন. ওয়ান চিকিৎসকদের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ মহামারীর আকার নিতে পারে, বাড়ছে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। জাপানের নতুন গবেষণায় এমন দাবি করা হলেও, এই বিষয়ে গবেষণার কাজ এখনও চলছে।

করোনা নিয়ে এখনই তেমন কোন বিধিনিষেধ বাধ্যতামূলক করা না হলেও, সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ভিড় এড়ানো বা জমায়েতে আবার মাস্ক ব্যবহার করার পুরোনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।