শ্রীলংকার ইঞ্জিনে এবার চিনের তেলে 

কলম্বো, ২৩ আগস্ট– ভারতকে চাপে ফেলতে এবং সমু্দ্রে আধিপত্য কায়েম করতে চিনের লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি এখনো পর্যন্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে। সেখানে ক্রমে প্রভাব বিস্তার করছে চিন । সিনোপেকের হাত ধরে তেমনই একটি ধাপ এগোতে প্রস্তুত বেইজিং।

চিনের নামী তৈলশোধনকারী সংস্থা সিনোপেক শ্রীলঙ্কায় জ্বালানির খুচরো ব্যবসা শুরু করতে চলেছে। আগামী মাস থেকে চীনা সংস্থার তেল বিক্রি শুরু হয়ে যাবে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে।

শ্রীলঙ্কায় জ্বালানির বাজারে অন্যতম পরিচিত নাম লঙ্কা আইওসি (লঙ্কা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন)। এত দিন সেখানে এই সংস্থারই একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। এ বার তার প্রতিযোগী হিসাবে আসছে সিনোপেক।


ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনেরই একটি শাখা লঙ্কা আইওসি। শ্রীলঙ্কায় তেলের ব্যবসায় ভারতের এই আধিপত্যে ভাগ বসাতেই কি চীনের আগমন? ভারতের ব্যবসাকে কতটা প্রভাবিত করতে পারবে চীনের সিনোপেক, তা অবশ্য এখনই স্পষ্ট নয়।

তবে চীন আসছে শুনে আগেভাগেই কোমর বাঁধছে ইন্ডিয়ান অয়েল। তারা ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কায় ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত করে ফেলেছে। এত দিন সেখানে ইন্ডিয়ান অয়েলের ২৫০টি পেট্রল পাম্প ছিল। নতুন করে আগামী মাসের মধ্যেই আরো ৩০টি পেট্রল পাম্প খোলা হবে।

২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কায় পা রাখে ইন্ডিয়ান অয়েল। সেই থেকে যাত্রা শুরু। কিছু দিনের মধ্যেই দেশের পেট্রল এবং ডিজেলের ব্যবসার ১৬ শতাংশে আধিপত্য কায়েম করেছিল তারা।

এ ছাড়া, লুব্রিক্যান্ট, বিটুমিন, বাঙ্কারিংয়ের মতো সামুদ্রিক জ্বালানির বাজারেও ৩৫ শতাংশ অধিগ্রহণ করেছিল ভারতীয় শোধন সংস্থা। যাত্রা শুরুর মাত্র এক বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় তারা জায়গা পাকা করে ফেলে।

শ্রীলঙ্কার জাতীয় তেল সংস্থা সিপেক্টো (সেলিয়ন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন) পরিচালিত ১,২০০টি পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ১৫০টির দায়িত্ব পাবে সিনোপেক। আগামী ২০ বছরের জন্য এই পেট্রল পাম্পের পরিচালনায় থাকবে চীনা সংস্থা।

ভারত মহাসাগরের উপর শ্রীলঙ্কার বন্দর হামবানটোটা ইতোমধ্যেই ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন । ওই বন্দরে বাণিজ্যিক লেনদেন-সহ যাবতীয় কার্যকলাপে চীনের অনুমতি প্রয়োজন।