অরুণাচলের ১১ টি জায়গার নাম বদলে দিল চিন, মান্যতা দিল না ভারত 

ইটানগর, ৪ এপ্রিল –  অরুণাচল প্রদেশের ১১ টি জায়গার নামই বদলে দিল চিন।  এমনকি, চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরের কাছাকাছি একটি শহরের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরেই অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে আসছে বেজিং। নয়াদিল্লিও বরাবরই স্পষ্টভাবে জানিয়ে আসছে যে ‘অরুণাচল প্রদেশ হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ’। কিন্তু তবুও অরুণাচলে আধিপত্য বিস্তারের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে  শি জিনপিং সরকার। পার্বত্য এলাকা থেকে নদী, বসতি অঞ্চল, সবই নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে চিন। অরুণাচলের বিস্তীর্ণ এলাকাকে একত্রে চিন ‘ঝাংনান’ অর্থাৎ ‘দক্ষিণ তিব্বত’বলে উল্লেখ করেছে। লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের আবহে চিনের এই নাম বদলের চেষ্টা দু’দেশের সম্পর্কের সমীকরণ নতুন করে প্রভাবিত হবে ।

রবিবার চিনের নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, মন্ত্রিসভার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অরুণাচল প্রদেশের (চিন বিজ্ঞপ্তিতে দক্ষিণ তিব্বত বলে উল্লেখ করে) কয়েকটি ভৌগোলিক এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে চিনের  মানচিত্রে অরুণাচলের ওইসব জায়গার নাম মান্দারিন হরফে লেখা থাকবে।  দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চিন।

চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে একেবারেই মান্যতা দিতে রাজি নয় ভারত। দিল্লির তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় । পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেওয়া হল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই যে কেউ নাম পরিবর্তন করলে তাতে বাস্তব কোনও দিন বদলাবে না ।

এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘আমরা চিনের রিপোর্ট দেখেছি। চিনের এই প্রচেষ্টা প্রথম বার নয় । আমরা এই নামকরণকে মান্যতা দিতে রাজি নই। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নাম পরিবর্তন করা হলেও তাতে বাস্তব পরিবর্তন হবে না।’’