মোদিকে ৭৫ আসনের রিটার্ন গিফট দেওয়ার ঘোষণা বাঘেলের

ভুপেশ বাঘেল (Photo: IANS)

রায়পুর, ২৫ আগস্ট– ইডি পাঠানোয় শুধু বিজেপি নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর বেজায় ক্ষেপেছেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। ইডির বদলা বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ আসন দখল করে নিতে চান বাঘেল। বুধবার ছিল বাঘেলের জন্মদিন। সেদিনই তাঁর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা বিনোদ ভার্মা, ওএসডি-সহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । যা নিয়ে মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করে ‘জন্মদিনের উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ’ বলে টুইট করেছিলেন বাঘেল। বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে ভার্মাকে মঞ্চের পাশে দাঁড় করিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সেই ঘোষণাই করেছেন তিনি। বলেছেন, ছত্তিশগড়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ৭৫টির বেশি আসন কংগ্রেসের দখলে নিয়ে এসে মোদিকে ‘প্রতি উপহার’ দিতে চাই।

তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “জন্মদিনে আমার রাজনৈতিক পরামর্শদাতা থেকে শুরু করে আমার ঘনিষ্ঠ লোকজনের বাড়ি ইডির তল্লাশি চালিয়ে যে উপহার প্রধানমন্ত্রী মোদিজি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি আমাকে দিয়েছেন, আগামী নভেম্বরে ছত্তিশগড় নির্বাচনে কংগ্রেসকে পঁচাত্তরের বেশি আসন জিতিয়ে তাঁদের দু’জনকেই এর রিটার্ন গিফট দিতে চাই।”

বিজেপি তাঁকে ও তার দলকে বদনাম করতেই এই ইডি-ইনকাম ট্যাক্সের খেলা খেলছে বলে অভিযোগ ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর আরও অভিযোগ তাঁর সরকারের আমলে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো বার ইডি, আইটি রেড হয়েছে । এসব করে কোনও লাভ হবে না বলেও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।


বলেছেন, “মজার ব্যাপার হচ্ছে, আগে বিজেপি নেতারা বয়ান দেন, তারপর সেইমতো কাজ হয়। এমনকী যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, সেখানেও সেই একই বয়ান থাকে।  আসলে ছত্তিশগড়ের সম্পদের (খনি) উপর বিজেপির মিত্রদের নজর রয়েছে। মিত্রদের সুবিধা দিতে পারছে না। তাই ইডি, আইটিকে এগিয়ে দিয়েছে।প্রথমে ছত্তিশগড় পরে ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ডে পরাজয়ের পর থেকেই আমাদের রাজ্যকে বদনাম করার পর্ব শুরু হয়েছে। ছোট একটা রাজ্য। সেখানে ২০০ বার ইডি, আইটি তল্লাশি হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এই তল্লাশির তালিকায় একজনও বিজেপি নেতা বা কর্মীর নাম নেই। নির্বাচনের আগে আরও এমন তল্লাশি হতে পারে। যত তল্লাশি চালাবে বিজেপির আসন ততই কমবে। আমাকেও তো জেলে পাঠিয়েছিল রমণ সিং। কিন্তু আমরা মরতে ভয় পাই না, লড়তেও। আর মানুষ সব বোঝে। তাই পনেরো বছর সরকার চালানোর পর বিজেপি ১৫ টি আসনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।” এ প্রসঙ্গে বাংলা থেকেও যে এই একই অভিযোগ রয়েছে, সেখানকার বিরোধী দলনেতা যাঁদের নাম করেন তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা তৎপর হয়ে ওঠে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সারা দেশে একই কায়দায় বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার চলছে বলে জানিয়েছেন বাঘেল। ছত্তিশগড়ে বিজেপির কোনও মুখ নেই। তাই তারা সেখানে মোদির উপর ভরসা করবে নাকি যোগীকে সামনে রাখবে, তা নিয়ে দোলাচলে রয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছেন বাঘেল। বলেছেন, “ছত্তিশগড়ের বিজেপি সভাপতি অরুণ সাউ বলছেন বুলডোজার চালাব। মোদিজির উপর আস্থা নেই। তাই এবার যোগীজিকে টেনে আনছেন।”