আদার উপকারিতাচুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে 

আদার গুনাগুনের কোনো শেষ নেই অদা যেমন খাওয়ার জন্য একটি দামি মেডিসিন। ঠিক তেমনই বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি স্কাল্পের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে আদার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আদার একাধিক উপকারী উপাদান চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি চুলকে এতটাই শক্তপোক্ত করে তোলে যে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।

হেয়ার ফলের মাত্রা কমে : অতিরিক্ত চুল পড়ছে দেখবেন হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো। আদায় ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং আরও নানাবিধ উপকারী উপাদান হেয়ার ফলিকেলের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুল এতটাই শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে যে হেয়ার ফলের আশঙ্কা কমে। এক্ষেত্রে ১ চামচ আদার পেস্ট নিয়ে তার সঙ্গে ১ চামচ অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি স্কাল্পে লাগিয়ে ধীরে ধীরে মাসাজ করতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।


খুশকির প্রকোপ কমে : আদায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা স্কাল্পে সংক্রমণের মাত্রা কমানের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাকেও ফিরিয়ে আনে। ফলে খুশকির সমস্যা কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে স্কাল্পে কোনও ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

এক্ষেত্রে ২ চামচ আদার পেস্ট নিয়ে তাতে ৩ চামচ তিল তেল এবং হাফ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে তারপর সেই পেস্টটি ভার করে স্কাল্পে এবং চুলে লাগিয়ে ৩০ অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফলতে হবে চুলটা। সপ্তাহে কম করে দুবার এই পেস্টটিকে কাজে লাগালে দেখবেন খুশিকর মতো ত্বকের রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : আদায় থাকা জিঞ্জেরল নামক উপাদানটি স্কাল্পে প্রবেশ করার পর চুলের গোড়ায় রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। আর এমনটা হলে চুল সুন্দর হয়ে উঠতে যে সময় লাগে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! এক্ষেত্রে সপ্তাহে কম করে ৩-৪ দিন আদার পেস্ট চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে, তাহলেই দেখবেন উপকার মিলবে একেবারে হাতে-নাতে!

চুল উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে : আদায় রয়েছে একাধিক উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন লাইনোলিক অ্যাসিড, চুলকে যেমন শক্তপোক্ত করে, তেমনি পুষ্টির ঘাটতি দূর করার মধ্যে দিয়ে চুলকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে ১ চামচ আদার পেস্টের সঙ্গে হাফ কাপ শসা, ১ চামচ নারিকেল তেল এবং ১ চামচ তুলসি তেল মিশিয়ে বানানো পেস্ট, সপ্তাহে ২-৩ বার চুলে লাগাতে হবে, তাহলেই কেল্লা ফতে!

চুলের গ্রোথ বাড়াতে কাজে আসে : অল্প বয়সেই যদি মাথা ফাঁকা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আদার সঙ্গে পেঁয়াজের পেস্ট নিয়মিত চুলে লাগানো যায়, তাহলে স্কাল্পের সালফারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও নানা সব উপকারি উপাদানের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে চুলর গ্রোথ দারুণভাবে হতে থাকে।এক্ষেত্রে ২ চামচ আদার পেস্টের সঙ্গে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এবং নিয়মিত চুলে লাগান।