ফের আসতে তৈরী নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট

দিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর– প্রায় বছর খানেক আগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় পিএফআই বা ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’এর মত সংগঠনকে। সেই পিএফআই ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। খবর ভোল বদলে আবারও সক্রিয় হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)। নিজেদের রাজনৈতিক শাখা ‘সোশাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (এসডিপিআই) সাহায্যে নতুন সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে পিএফআই।

বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০২২ সালে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউএপিএ আইনে পাঁচ বছরের জন্য সংগঠনটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষণার পরে থেমে না থেকে জেহাদের নতুন নীল নকশা তৈরি করছে পপুলার ফ্রন্ট । জানা গিয়েছে, গত তিন মাসে ত্রিবান্দ্রমে বেশ কয়েকটি গোপন বৈঠক করেছেন পিএফআই ও এসডিপিআইয়ের নেতারা। নতুন সংগঠন তৈরি করার চেষ্টায় এই তোড়জোড় চলছে। যদিও নিষিদ্ধ সংগঠনের এই সমস্ত কার্যকলাপের ওপর সজাগ নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।  

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজরদারি এড়াতে এবার সদস্য সংগ্রহের পন্থা পালটে আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে পপুলার ফ্রন্ট। আগে মূলত নিজেদের শাখা সংগঠন ও মাদ্রাসাগুলি থেকে ‘রিক্রুটমেন্ট’ হত। এবার তা না করে, সাইবার স্পেসকে হাতিয়ার করেছে সংগঠনটি। এই কাজে সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। নেটদুনিয়া সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ‘সমাজকর্মী’দের একাংশকেও হাতিয়ার করে লোকসভার আগে আসরে নামছে পিএফআই।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে পপুলার ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআই-র পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।