সিকিমের তুষারধসে মৃত্যু কলকাতার শিশু সহ ৩ জনের

 নাথুলা, ৫ এপ্রিল– মঙ্গলবার উত্তর সিকিমের নাথু-লা পাস এবং সংমো লেক সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ তুষারধসে  প্রাণ গিয়েছিল ৭ জন পর্যটকের । তাঁদের দেহগুলি ইতিমধ্যেই সিকিমের জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে তিনজন নেপালের, দুজন পশ্চিমবঙ্গের ও দুজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও ১৫ জন। তাঁদের সিকিমের এসডিএম হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।

তুষারধসে অন্তত ১০০ জন পর্যটক চাপা পড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যে উদ্ধারকাজ চালানো হয়, তাতে এখনও একজনের খোঁজ মিলছে না বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল থেকেই উত্তর সিকিমের ১৫ মাইল থেকে শুরু করে ১৩ মাইল পর্যন্ত ফের উদ্ধারকাজ শুরু করেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন, স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড, এবং আর্মির রেসকিউ টিম। বর্তমানে উত্তর সিকিমের ১৩ মাইলে উদ্ধার কাজ চলছে। এর পাশাপাশি, তুষারধসের পর বরফ সরিয়ে রাস্তার একদিক দিয়ে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সি প্রীতম মাইতি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেরই আরও এক পর্যটক ২৮ বছর বয়সি সৌরভ রায়চৌধুরীরও মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৬ বছরের একটি শিশুও রয়েছে, সে উত্তরপ্রদেশ থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে এসেছিল সিকিমে। উত্তরপ্রদেশের আরও ১ জন, এবং নেপালের ৩ জন রয়েছেন মৃতদের তালিকায়। আহতদের মধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং নেপালের বাসিন্দারা রয়েছেন।


সূত্রের খবর, তুষারধস নামা শুরু হয় ১৭ মাইল এলাকায়। সেই সময় নাথুলা পাসের দিকে যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। ধসের কারণে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস। গ্যাংটক পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল পর্যটকদের। কিন্তু তাঁরা জোর করে ১৫ মাইল পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরেই ধসের কবলে পড়েন তাঁরা।