যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউক্রেনে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অন্তত ১৮ জনের

কিয়েভ, ১৮ জানুয়ারি– প্রায় এক বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ইউক্রেনে-রাশিয়া যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে মাতৃভূমি বাঁচাতে মরিয়া ইউক্রেনকে যে কোনও ভাবে নাস্তানুবাদ করতে প্রস্তুত মস্কো। তার জন্য তার হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল থেকে নার্সারি স্কুল। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর তালিকা। সেই মৃত্যুর তালিকায় নব সংযোজন। যদিও এবার মৃত্যুর জন্য মস্কো নয় দায়ী দুর্ঘটনা। এক নার্সারির উপর ভেঙে পড়ল সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। বুধবারের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস মনাস্টরস্কি-সহ একাধিক ব্যক্তির। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দুই শিশু-সহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। এই মারাত্মক দুর্ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্দারকাজ শুরু করে কিয়েভের স্থানীয় প্রশাসন। যদিও আপাতত দুর্ঘটনা বললেও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার পেছনে রাশিয়ার যোগ নিয়েও আঙুল উঠছে পুতিনের দেশের দিকেও। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেনি রাশিয়া। 

ইউক্রেন পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিস। কিয়েভ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ব্রোভারি এলাকায় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের উপর ভেঙে পড়ে তাঁদের হেলিকপ্টারটি। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, বিশাল এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। সেই সঙ্গে গোটা এলাকায় আগুন ধরে গিয়েছে। নার্সারি স্কুল ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনার ফলে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।

পুলিশের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, দুই শিশু-সহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ১০ শিশু-সহ ২২ জনকে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পুলিশ। আহতদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরাও উপস্থিত হয়েছেন। আপাতত ওই নার্সারি স্কুলের বাড়িটি খালি করা হয়েছে। আর কেউ বাড়ির ভিতরে আটকে নেই বলেই অনুমান উদ্ধারকারীদের।


প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্রোভারি এলাকা দখল করতে তুমুল লড়াই চলে দুই পক্ষের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত এই এলাকা দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে মিসাইল হামলা চালায় রাশিয়া। ছয় শিশু-সহ ৪৫ জনের মৃত্যু হয় ওই হামলায়।