ওয়াশিংটন ডি সি, ৫ মার্চ – অরুণাচলপ্রদেশ ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ , ঘোষণা করল মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক। সম্প্রতি অরুণাচলের বিভিন্ন পাহাড়, নদী, শহর মিলিয়ে মোট ১১টি এলাকা তিব্বতের দক্ষিণ অংশ বলে দাবি করে চিন। তারপরই হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জাঁ-পিয়ের সাংবাদিক সম্মেলন করে চিনের সমালোচনা করেন। তিনি চিনের মন্ত্রীসভা স্টেট কাউন্সিল ও সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কড়া বিবৃতি দেন। তিনি জানান, ‘আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন এলাকার একতরফা চিনা নামকরণ বরদাস্ত করবে না আমেরিকা।’
অরুণাচল নিয়ে চিনের দাবিদাওয়া নতুন কিছু নয় । বহু বছর ধরেই অরুণাচলপ্রদেশের নানা এলাকা ‘নিজেদের’ বলে দাবি করে এসেছে চিন। এমনকি চিনের মানচিত্রেও তারা অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা অন্তর্ভুক্ত করেছে। গত রবিবার চিনের নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, মন্ত্রিসভার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি ভৌগোলিক এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে চিনের মানচিত্রে অরুণাচলের ওইসব জায়গার নাম মান্দারিন হরফে লেখা থাকবে। দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চিন। অরুণাচলের বিস্তীর্ণ এলাকাকে একত্রে চিন ‘ঝাংনান’ অর্থাৎ ‘দক্ষিণ তিব্বত’বলে উল্লেখ করেছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং দাবি করেছেন , চিনের মন্ত্রিসভা যে নতুন নিয়মাবলি তৈরি করেছে , তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ১১টি জায়গার নাম নির্দিষ্ট করা হয়েছে৷ আইনসঙ্গতভাবেই তা করা হয়েছে ৷ ওই নামগুলি নতুন করে চাপিয়ে দেওয়াও নয়৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুখে মুখে ওই নাম প্রচলিত হয়ে আসছে৷ এ বার তাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হল৷
এর পরেও অরুণাচল নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। বরং বছর দুয়েক আগে অরুণাচলের তাওয়াং ও লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে দফায় দফায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দু-দেশের সেনাবাহিনী। এই আবহেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিল হোয়াইট হাউস।