অরুণাচল ভারতেরই, চীনের দাবি নস্যাৎ করে বলল আমেরিকা 

আমেরিকা , ১৭ফেব্রুয়ারি — অরুণাচল সীমান্তে চীনের ‘সামরিক দাদাগিরি’র তীব্র নিন্দা করলো মার্কিন সেনেট। সিনেটে গৃহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অরুণাচল ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ. চীন অযথা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক সক্রিয়তা জারি রেখেছে। মার্কিন সিনেটের তিনজন সিনেটর  বৃহস্পতিবার  একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেনা. তাঁরা অরুণাচল প্রদেশকে “ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ” বলে সমর্থন করেন। অরুণাচলের ‘অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব’ বজায় রাখতে ভারতকে সমর্থনও করা হয়েছে মার্কিন সেনেটে। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চীনের “সামরিক শক্তি ব্যবহার” করার জন্য চীনের নিন্দা করেন তাঁরা। চীনের “আগ্রাসন নীতি এবং নিরাপত্তা জনিত হুমকি”র বিরুদ্ধে “আত্মরক্ষা” করতে ভারত সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়।

আমেরিকার সেনেটে এই মর্মে এই প্রস্তাব ঘিরে আশার আলো দেখছে ভারতের কূটনৈতিক মহল। অরুণাচলের কিছু এলাকা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে  পুরনো দ্বন্দ্ব অনেকদূর এগিয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । সেই পরিস্থিতিতে মার্কিন সিনেটে বিষয়টি উত্থাপন হওয়ায় ভারতের কূটনৈতিক গুরুত্ব বাড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তিু বিঘ্নিত করতে চিনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। চিনের উস্কানি রুখতে ভারতের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসাও হয়েছে মার্কিন সেনেটে।

মার্কিন সেনেটর জেফ মার্কলে, বিল হাগেরটি এবং জন করনিন অরুণাচলের বিষয়ে প্রস্তাবটি আনেন। অরুণাচলে ভারতের প্রতিরক্ষার ব্যাপারে নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। ওই সেনেটররা বলেন, “অরুণাচল সীমান্তে ভারত যেভাবে প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে। মার্কিন সাহায্যও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তা প্রশংসনীয়।”
 অরুণাচল, লাদাখ সহ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের কাছে নিজেদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে চিনা সেনা। ডোকালাম, লাদাখের প্যাংগং হ্রদ ও অরুণাচলের তাওয়াংয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে কয়েকবার । এদিকে লাদাখ-চিন সীমান্তে আইটিবিপি-র ৯৪০০ জওয়ান নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সেনেটের এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক মহলে অরুণাচল নিয়ে ভারতের দাবিকে আরও পোক্ত করবে বলে মতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।